
আরিয়ান খান, কক্সবাজার: ‘শান্তির বিশ্ব হোক কবিতার জয় হোক’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল শতাধিক দেশি-বিদেশি কবিদের বরণ অনুষ্ঠান। ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, জার্মান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য কবিদের পদভারে মুখরিত হয় স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। শুরুতে কবিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। বরণ শেষে স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে একাডেমীর মাঠে হাজার রকমের পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের লিখিত ৬০টির মত দেয়ালিকা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক ও একাডেমী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বহু সফল প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সম্মানিত দেশি-বিদেশি কবি ও অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হরেক রকমের পিঠাপুলি উপভোগ করেন এবং দেয়ালিকা প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে আগত কবি ও অতিথিরা একাডেমীর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সম্মানিত কবি ও অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বহুমাত্রিক লেখক ও কবি কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জার্মান প্রবাসী কবি নাজমুন নাহার পিয়ারী। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম। অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ধরনের কবি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কবিতা চর্চা ও কবিতা পাঠভ্যাস জাগ্রত হবে। দেয়ালিকা লিখনীর মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ও সৃজনশীল চিন্তা চেতনা জাগ্রত হবে। হরেক রকম পিঠাপুলি তৈরি ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাঙালি জাতির চিরাচরিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি দেশি বিদেশি প্রখ্যাত কবি ও অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছৈয়দ করিম। কবিতা আবৃত্তি করেন উর্দু ভাষার প্রখ্যাত ভারতীয় কবি নুরুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন ভারতীয় প্রখ্যাত কবি রফিকুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কবি অবশেষ দাস, ঢাকার কবি ফারুখ আহমেদ এবং বহু দেশি বিদেশি প্রখ্যাত কবি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক নিজামুল বাহার।