

রামু প্রতিনিধি: কক্সবাজার রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার বলেছেন- সুশিক্ষিত প্রজন্ম সৃষ্টি হলেই দেশ এগিয়ে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশিক্ষিত নাগরিক তৈরীর কারিগর আবুল কালাম আজাদ শ্রেষ্ঠ সন্তান। প্রবাসী হওয়া সত্ত্বেও তরুন বয়সে তিনি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মতো কঠিন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তিনি চাইলে প্রবাসের সকল আয় দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখি জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে, প্রবাসের কষ্টার্জিত সকল অর্থ দিয়ে একটি এলাকাকে আলোকিত করার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। সমাজের অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি যা পারেনি, আবুল কালাম আজাদ তা করেছেন। এ প্রতিষ্ঠান যতদিন থাকবে ততদিন আবুল কালাম আজাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, কিন্তু এ বিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব সবার। প্রশাসন সবসময় এ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে পাশে থাকবে।
ইউএনও নিরুপম মজুমদার রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ এবং বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন- রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন- দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা। এতে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন- আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য ও হাজ¦ী আলমাছিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদুল আলম। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য নুরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন- ‘বিদ্যালয়ের অভাবে এখানকার হতদরিদ্র মানুষের শিশুরা পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত ছিলো। নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। অনেক বাধা পেরিয়ে এ বিদ্যালয় সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে এটি জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ে পরিনত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুর রহিম, মোহাম্মদ শমশাদ আলী, ইয়াছমিন আকতার, সিরাজুল ইসলাম, আহমদ সিফাত, এরশাদ উল্লাহ, আবুল হোসাইন, খোরশেদুল ইসলাম, ইউসুফ মির্জা, করিম উল্লাহ, জয়সেন ধর প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের বিদায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন।