
স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি।।
বিপুল চাকমাসহ চার ইউপিডিএফ নেতার খুনের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার-শাস্তি ও দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি ষোষনা করেছে ইউপিডিএফ।
ইউপিডিএফের মুখপাত্র ও খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে জানান, চার খুনে জড়িত গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) পূর্ব ঘোষিত খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করা হবে। এতে জেলাবাসীর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ।
বিবৃতিতে তিনি অবরোধ চলাকালে রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী বিদ্যুত ও ঔষধ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বহনকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান।
গত ১১ ডিসেম্বর রাতে সন্ত্রাসীরা পানছড়ির লোগাঙ এলাকার অনিল পাড়ায় একটি বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করে পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (রহিনসা) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও খুনি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দেয়ার দাবিতে গত ১২ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে। ইতোমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে-বিদেশে নিন্দা, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলছে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা হরতাল পালন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়ায় এক বাড়িতে দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রহিন বিকাশ ত্রিপুরা।
এ সময় ইউপিডিএফ সংগঠক নীতি দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করলেও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অমর চাকমা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ ধর্মঘট এবং সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেয়।
এদিকে ইউপিডিএফের চার নেতা হত্যার প্রতিবাদে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ বয়কট কর্মসূচি গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়। এর আগে ২০১৮ সালেও পানছড়ি বাজার বয়কট করেছিল আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ‘ইউপিডিএফ’।