
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পর্যটকবাহী মাহেন্দ্র, পিকআপ ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ সব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক জানান, ঘটনাটি রাঙামাটি ও দীঘিনালা সীমান্ত এলাকায় ঘটেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পর্যটকসহ গাড়িগুলো উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যায়। তিনটি গাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
স্থানীয়দের ধারণা, ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তাদের চার নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে আজ খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, সকালে সাজেক যাওয়ার পথে শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। তিনি আরও জানান, পর্যটকদের গাড়ি লক্ষ্য করে দুই-তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে, পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের দুই পাশে সরকারি বিভিন্ন জাতের শতাধিক গাছ কেটে ফেলে পিকেটিং করে ইউপিডিএফ কর্মীরা। খাগড়াছড়ি বন বিভাগের কর্মকর্তা জানান, কেটে ফেলা সড়কের দুই পাশের শতাধিক গাছের মূল্য কোটি টাকা হতে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকরা পিকেটিং শুরু করেন। তারা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর আগে গত রবিবার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পানছড়ি উপজেলায় দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউপিডিএফের চার নেতাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।