পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

॥মোঃ নুরুল আমিন, রাঙ্গামাটি ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশী,এখানে আমাদের পরিচয় বাংলাদেশী। যার যার কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে মানুষ বাচঁবে এবং যার যার অধিকার নিয়ে মানুষ বাঁচবে। এখানে মানুষ কেউ বঞ্চিত থাকবে না কোনো পাহাড়ি বা বাঙালি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে শান্তি- সম্প্রীতি,যে উন্নয়ন এটিকে অব্যাহত রাখতে চাই। এই শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলেই বাংলাদেশের অনন্যা উচ্চতায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৌছাতে সক্ষম হবো।

আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এর সভাপতিত্বে এবং রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, বৃষকেতু চাকমা এবং সাবেক সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু সহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন,বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য দশামাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রাম কখনো পিছিয়ে থাকবে না। সমতলের শ্রেতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামকেও এগিয়ে নিতে চাই। সকলেই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো, এটি হচ্ছে অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির মানুষকে সব সময় হৃদয়ে রাখতে চান। রাঙ্গামাটির হাসি, পার্বত্য চট্টগ্রামের হাসি, রাঙ্গামাটির দুঃখ,পার্বত্য চট্টগ্রামের দুঃখ। পার্বত্য চট্টগ্রামে যা কিছু করেছে এবং যা কিছু হয়েছে, এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে মাইল ফলক এবং পিলার হিসেবে থাকবে। সেই শান্তিচুক্তি থেকে শুরু করে যিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপন করেছেন, তিনি দীপংকর তালুকদার। তিনি আরো বলেন,  তিনি রাঙ্গামাটিবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ ও ধন্য। এই যে আনন্দ, এটি তিনি সকলের মাঝে বিলিয়ে দিতে চান, যাতে এটি সকলের মাঝে যেন বিরাজ করে এবং সকলের মাঝে যেন হাসি ফুটে ।

সমাপনী ও সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান, একদিকে যেমন পার্বত্য এলাকার মানুষ সমতল ভূমির মানুষের মতোই উন্নতির দিকে যাক। আবার তিনি একই সাথে চান ১১টি ক্ষুদ্র জাতি যাতে সমানতালে এগোতে পারে। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, রাঙ্গামাটিবাসী আনন্দিত, প্রধানমন্ত্রী একটি বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে ১৯৯৮ সালের পর থেকে কোনো মন্ত্রী হয়নি এবং ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে কেউ মন্ত্রী হয় নাই। তাই প্রধানমন্ত্রী কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণ।