
সোহানুর রহমান, দীঘিনালা প্রতিনিধি।।
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা দুই পাহাড়ের মাঝে ক্রীক বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম জলাশয় সৃষ্টি করে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন স্থানীয় মৎসজীবী উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের গবাছড়ি এলাকার মাছ চাষী পান্টু চাকমা ও পশ্চিম বেতছড়ি জুরজুরি পাড়ার মাছ চাষী আবদুর রহমান।
মৎস চাষে সরকারি প্রণোদনায় ক্রীক বাঁধ প্রকল্প পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য উপ-পরিচালক ড. আরিফ হোসেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গবাছড়ি এলাকার মাছ চাষী পান্টু চাকমা ও ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বেতছড়ি জুরজুরি পাড়ার মাছ চাষী আব্দুর রহমানের ক্রীক বাঁধ পরিদর্শন করে মাছের নমুনা ও ওজন পরীক্ষা করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: আরিফ হোসেন বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রত্যেক উপজেলা ক্রীক বাঁধের মাধ্যমে মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে মাছ চাষিরা অনেক উপকৃত হয়েছে এবং ক্রীক বাঁধ দেয়া পুকুরগুলোতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক খাদ্য সৃষ্টি হয় যার কারনে খাদ্য কম লাগে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুকনো মৌসুম পাহাড়ে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। তখন এ সকল ক্রীক বাঁধে জমানো পানি স্থানীয়দর প্রয়োজন মেটায়। পাহাড়ে পতিত জমিতে ক্রীক বাঁধ নির্মান করে মাছ চাষের পাশাপাশি সুপেয় মিঠা পানির অভাব দূর করে এবং এ মৌসুমে ফসলি জমিতে চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পানি সরবারহ এ বাঁধ থেকে হয়ে থাকে।’
এমসয়, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও মৎস্য আহবায়ক মিজ শতরূপা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প সহকারী পরিচালক শরৎ কুমার ত্রিপুরা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্না চাকমা, স্থানীয় সাংবাদিক মো: সোহেল রানা, সাংবাদিক সোহানুর রহমান সহ দীঘিনালা উপজেলা শ্রেষ্ঠ মাছ চাষী মো: শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।