
সোহানুর রহমান, দীঘিনালা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ইবনে আজম সামী সাত বছর বয়সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ পুরো মুখস্থ করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ১৮ মিনিট ভাষণ দিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলায় সারা ফেলেছে। সামী উপজেলার কবাখালী কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কথা হয় তার সাথে। সে জানায় ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কারণেই তার ঐতিহাসিক ভাষণ শেখা।’
ইবনে আজম সামী ইতিমধ্যে কবাখালী আল-আমিন বাড়ীয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা, কবাখালী নূরানী হিফজ খানা, কাব ক্যাম্পুরি, গত সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি উঠান বৈঠক এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েকটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।
সামী জানায়, পরিবারের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। বাবা- মায়ের আদর্শের কারণেই নিজেও জাতির পিতার আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হই। সে আরো জানায়, ভাষণ প্রদান করে একদিন বঙ্গবন্ধুর মতোই পরিচিতি পেতে চাই।
উপজেলার কবাখালী আল- আমিন বাড়ীয়া নূরাণি হিফজ খানার সহকারী পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান ইবনে আজম সামী বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন হয়েছে। বাচনভঙ্গি কথাবার্তা সাহসী বক্তার মতো ফুটে উঠেছে।
এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা স্কাউটের সদস্য ও উত্তর কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক কাব লিডার নজরুল ইসলাম জানান, গত কাব ক্যাম্পুরিতে ইবনে আজম সামী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ০৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করেছিলো। জাতির পিতার ভাষণ হুবহু অবিকলভাবেই দিয়েছিল। চমৎকারভাবেই উপস্থাপন করে ভাষণ প্রদান করায় অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়।