মানিকছড়িতে পুলিশি অভিযানে চোরাইকৃত চার মোটর সাইকেল উদ্ধার, চোর চক্রের দুই সদস্য আটক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে ও বিচক্ষনতায়, সাহসিকতায় এবং যুগোপযোগী কৌশলের ফলশ্রুতিতে খাগড়াছড়ি জেলার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে অপরাধীদের দমনের লক্ষ্যে জেলার প্রতিটি ইউনিট জোর কাজ করে যাচ্ছে। চোরচালান দমন, ক্লুলেস বিভিন্ন অপরাধের রহস্য উম্মোচনে যেকোন সময়ের তুলোনায় খাগড়াছড়ির সম্মানিত নাগরিকবাসি পাচ্ছেন কাংখিত পুলিশি সেবা। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সামাজিক অপরাধ নির্মুলে জেলার সকল স্থানে পুলিশি অভিযান, গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। এমনি বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা অত্র জেলার একটি অন্যতম অপরাধ যা অত্র জেলার বর্তমান পুলিশ সুপার মহোদয়ের নজরে আসলে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় অত্র জেলার সকল থানায় একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়, বাড়ানো হয় এই অপরাধের সক্রিয় সদস্য গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি।

৭ মার্চ রাত পোনে ১১টায় দিকে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার একটি চৌকস আভিযানিক দল পুর্ব থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষন করে কৌশলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে আন্তঃ জেলা মোটরসাইকেল সক্রিয় ০১জন চোর সদস্য ০১। মোঃ রমজান আলী (২৮), পিতা- মোঃ মুসলিম মিয়া, মাতা- মোমেনা বেগম, সাং- তিনটহরী গুচ্ছগ্রাম, ০৪নং ওয়ার্ড, ০৪নং তিনটহরী ইউপি, থানা- মানিকছড়ি, জেলা-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা কে আটক পূর্বক তার হেফাজত থেকে ০৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয় এবং উক্ত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে মানিকছড়ি থানাধীন ০৪নং তিনটহরী ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডের তিনটহরী বাজারপাড়া সাকিনস্থ জনৈক সাইফুল ইসলামের দোকানের সামনে থেকে অভিযান পরিচালনা করে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় ০২। মোঃ আবদুল গফুর (৩৬), পিতা- মোঃ আবদুর রাজ্জাক, মাতা- সাহেরা খাতুন, সাং- তিনটহরী পূর্বপাড়া, ০৪নং ওয়ার্ড, ০৪নং তিনটহরী ইউপি, থানা- মানিকছড়ি, জেলা-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাকে আটক পূর্বক তার হেফাজত হতে ০১টি চোরাই মোটরসাইকেল উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা শেষে গ্রেফতারকৃত ০২জন সক্রিয় চোর এবং উদ্ধারকৃত ০৪ (চার) টি লাল রংয়ের পুরাতন রেজিঃ বিহীন ঐবৎড় এখঅগঙটজ ১২৫ঈঈ মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে এসে বিধি মোতাবেক মামলা রজু করা হয় এবং আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

উল্লেখ্য যে আসামীদ্বয়কে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে আসে এবং সুযোগ বুঝে বিভিন্ন জায়গায় অনেক সময় মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংস খুলে অবার কখনও অক্ষত মোটরসাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারপ্লেট খুলে প্রতারনা পূর্বক সাধারন নাগরিকের কাছে বিক্রি করে। এর মধ্যে ০১ নং অসামীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ০৫ টি চুরির মামলা আছে।