
।। নিউজ ডেস্ক।।
উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি এ নির্বাচনে কোনো সংঘাত চান না।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে যেন কোনো সংঘাত না হয়। জাতীয় নির্বাচনে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন উন্মুক্ত করা ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন-কষাকষি আছে, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে।
‘কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করব, কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে অপরকে দোষারোপ করে লাভ নেই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্যাংশনের ভয় দেখানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে চেয়েছে বিএনপি। সঙ্গে ছিল বিদেশি প্রভু। কিন্তু আমাদের কৌশলের কারণে সমালোচকরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি।
‘কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় অবাধ সুষ্ঠু হয়নি? আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে চেয়েছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশনস দেয়া যাবে। স্যাংশনস নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশনস দিতে পারি। না জেনে বলিনি, সব জানি বলেই বলেছি।’
বিএনপির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বার বার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তারা। জনগণ আমাদের শক্তি, পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এ দলটির নেতা-কর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে। বার বার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে।
‘সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪ তে চেষ্টা করেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ তে এসেও আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো লাভ নেই। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’
আওয়ামী লীগের আমলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে আহ্বান জানাই। এ ছাড়া মজুতদারি ও চাঁদাবাজিতে দ্রব্যের দাম যেনো না বাড়ে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।’
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে গণভবনে এ বিশেষ সভা শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে সারা দেশ থেকে আসা নেতারা গণভবনের সামনে জড়ো হন এবং সাড়ে ৮টা থেকেই এক এক করে নেতারা গণভবনে প্রবেশ শুরু করেন।
তথ্যসূত্র: নিউজ বাংলা টুয়েন্টিফোর