
।। এম শাহেদ, আলীকদম।।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাশেম মেম্বার পাড়ার বাসিন্দার জেসমিন আক্তারের কন্যা মুক্তা মনি (০৭) গত বুধবার অসাবধানতাবশত ফুটন্ত গরম পানির পাতিলে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। এ কদিন যাবত আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন ।টাকার অভাবে উন্নতি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি মুক্ত মনিকে। পাশে নেই জন্মদাতা বাবা শুধু আছে তার গর্ভধারিণী মা’ মুক্তা মনির মা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা পরকীয়া প্রেমে পড়ে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে চকরিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় সংসার পেতেছেন।
আলীকদমের চিকিৎসার অভাবে উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ার খবর শুনে তাৎক্ষণিক বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাস’র মাধ্যমে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়াল।তিনি বলেন, আমাদের বান্দরবানের অভিভাবক বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয় দেশের বাহিরে রয়েছেন বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন এবং আহত শিশুটিকে তৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়েছেন যাতে টাকার অভাবে চিকিৎসার ঘাটতি না ঘটে। তাই জরুরী চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা সহায়তা পাঠানো হয়েছে তিনি জানান।
শিশুটির চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অংশেথোয়াই মার্মা সহ তার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শফিউল আলম।
আহত মুক্তা মনির গর্ভধারিণী মা জেসমিন আক্তার বলেন, গত পাচঁ দিন যাবদ হাসপাতালে ভর্তি আছি আমার মেয়েটিকে নিয়ে আলীকদমের কোনো জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের চোখে পড়েনি আমাদের ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শফিউল আলম ভাই হঠাৎ করে হাসপাতালে আসাতে তিনি আমাদের দেখতে পান। উনি বিষয়টি সবাইকে জানিয়েছেন এবং জয়নাল আবেদীন নামে একজন (মিডিয়াকর্মী) এসে ফেইসবুকে ছবি আপলোড দিলে বিষয়টি জানা জানি হয় এবং আমাদের বান্দরবানের এমপি বীর বাহাদুর উশৈসিং মহোদয় (১০ হাজার টাকা) পাঠিয়েছেন সাথে আরো অনেকেই আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে আলীকদম হতে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রহিলো।
আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শিশুটি যখম খুবই গুরুতর অসুস্থ দেখা যায়। এধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমাদের কাছে না থাকায় আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করে দিই। কিন্তু শিশুটির মা ব্যতীত আর কোন অবিভাবক না থাকায় তার মায়ের পক্ষ্যে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয় বলে জানালে আমরা গত পাঁচ দিন ধরে শিশুটিকে যথাসম্ভব চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। তবে অতিসত্বর তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
এসময় শিশুর গুরুতর আহত খবর পেয়ে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে এসে আলীকদম সেনা জোনের পক্ষে থেকে আর্থিক ভাবে (১০ হাজার টাকা) সহায়তা দিলেন সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃকর্নেল শওকাতুল মোনায়েম পিএসসি। সাথে আরো (৫ হাজার টাকা) সহায়তা করেন উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক অংশেথোয়াই মার্মা এবং ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় (৪০ হাজার টাকার) মতো অনুদান পেয়েছেন মোক্তার পরিবার।