শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে বান্দরবান সেনা জোনের মতবিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান

বশির আহমেদ, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ও সাফল্যমন্ডিত করতে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে বান্দরবান জোন। শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহবান জানানো হয়।

২১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে বান্দরবান জোন এর উদ্যোগে সদর উপজেলা এর আওতাভুক্ত পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময়কালে জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান (পিএসসি) এবং নবাগত জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মশিউর রহমান, পিএসসি এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে সেনা কর্মকর্তারা বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা হিসেবে সমাদৃত। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সকল ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা স্ব-স্ব ধর্মীয় উৎসবগুলো অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ন একটি পরিবেশে পালন করে যাচ্ছে। সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। প্রতি বছরের ন্যায় আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এসময় পূজা উদযাপন কে ঘিরে যে কোনো সহায়তা বা প্রয়োজনে বান্দরবান জোনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নেতৃবৃন্দদের প্রতি আহবান জানান নবাগত জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মশিউর রহমান, পিএসসি। এছাড়াও তিনি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিজস্ব ভলান্টিয়ার সদস্য নিয়োগ, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থ গ্রহনে আহবান জানান এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় তিনি বান্দরবান জোন এর নিয়মিত নিরাপত্তা টহলের পাশাপাশি পূজা উদযাপন অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য অতিরিক্ত সেনা টহল মোতায়েন থাকবে বলেও উল্লেখ করেন।

শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গোৎসব উদযাপন পরিষদ বান্দরবান সাধারণ সম্পাদক সবুজ দত্ত বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজেশ দাশ, এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১২টি পূজা মন্ডপ কমিটি এর প্রতিনিধি এবং ৩ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী কে এক লক্ষ উনপঞ্চাশ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উ শারদীয় দুর্গোৎসব। ৫দিন নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে ২রা অক্টোবর বিজয়া দশমীর পূজা ও অঞ্জলির পর নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব সমাপ্ত হবে।