বাঘাইছড়িতে তিনশত একচল্লিশটি বিকল্প পানির উৎস সনাক্ত

প্রতিনিধি, বাঘাইছড়ি।।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের (সিএইচটি) টেকসই পানি সম্পদ ব্যাবস্থাপনার জন্য পানির উৎস সনাক্তকরণ ও পুনরুজ্জীবিতকরণ যাচাই করণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল দশ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার এর সভাপতিত্বে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন  উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ইঞ্জিনিয়ার মো: শাকিল আহম্মেদ, সহযোগিতা করেছেন মো: আজিজুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞানী, পারভেজ শাওন সাইফ, সহযোগী কর্মকর্তা, সেন্টার ফর ইনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) ঢাকা। 

কর্মশায় আলোচনা থেকে জানায় বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নে কর্মরত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালিত পাড়া কেন্দ্রে কর্মরত পাড়া কর্মীগণ ২০২০ সালের মার্চ থেকে এই জরিপ কাজ শুরু করে মাঝ পথে করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্ব শেষে ২০২৪ এর জানুয়ারীতে সমাপ্ত করেন। তার ফলশ্রুতিতে উপজেলায় ৩৪১ টি বিকল্প পানির উৎস সনাক্ত করে কর্মশালার মাধ্যমে অবহিতকরণ করা হয়েছে। এসময় বলা হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ২০ টি ঝর্ণার  মধ্যে ১৬ টি বারোমাসি, ৩ টি মৌসুমি, এবং বাঘাইছড়ি ইউনিয়নে ৮ টি ঝর্ণা আছে এটি সকল ইউনিয়নের চেয়ে সংখ্যায় বেশী। এছাড়া উপজেলায় মোট ২৩৮ টি ছড়া রয়েছে এর মধ্যে ১৭১ টি বারোমাসি এবং ৬৬ টি মৌসুমি এদের মধ্যে বাঘাইছড়ি ইউনিয়নে ৩৯ টি ছড়া অবস্থিত, যারমধ্যে ৩২ টি বারোমাসি, এবং ৭ টি মৌসুমি,  সাজেক ইউনিয়নে সর্বাধিক ১০২ টি ছড়া এবং খেদারমারা ইউনিয়নে ৮ টি ছড়া রয়েছে। 

পরে বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলের পানির চাহিদা মেটাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠির জন্য নিরাপদ ও টেকসই পানির উৎস নিশ্চিত করতে আরো ভালো পানি ব্যাবস্থাপনার কৌশল ও বাস্তবায়ন প্রবর্তন করা আবশ্যক।