

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি প্রতিনিধি।।
রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়িতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি হ্রাস কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক লীন প্রকল্পের উপজেলা পর্যায়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি )সকাল দশটায় উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি লিডারশীপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউটট্রিশন (LEAN)-এর সহযোগিতায় এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জুম ফাউন্ডেশনের-এর বাস্তবায়ন ও আয়োজনে কনফারেন্স হলে এ সভা হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উৎপলা চাকমা। এতে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ডিআরআর ইস্টার্ন ঢাকা’র মো. আশরাফ আলী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ উন্মে শায়েখা, উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অফিসার মিতু চন্দ্র পাল,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম চাকমা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বিভীষণ চাকমা প্রমূখ।
অন্যদিকে জনপ্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ নং বিলাই ছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান,৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সচিব শান্তি বরণ তালুকদার, উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর অসীম চাকমা প্রমূখ।
বৈঠকে বক্তারা বলেন,দুর্যোগ মোকাবেলায় মানসিক শক্তি প্রয়োজন, রাইংখ্যং খালটি পলি জন্মানোর ফলে,সামান্য বৃষ্টিপাতে নীচু এলাকা তলিয়ে যায়, যার ফলে প্লাবিত হয় শত শত পরিবার, ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকা। খাল খনন বা ড্রেসিং-এর মাধ্যমে নাব্যতা ফিরে পেতে পারে, এতে রক্ষা পেতে পারে অনেক ফসলি জমি । তারা আরো বলেন,সরকারিভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া বিষয়,এনজিও’র মাধ্যমে ছোট ছোট প্রকল্প গঠন করে দ্রুত সমাধান করা এবং ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো বাড়ানো।
তারা আরো বলেন,ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাসাবাড়ি তৈরি না করা,দুর্যোগ হলে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়া। এছাড়া সুউচ্চ পাহাড়ে মানুষ বসবাস করতে গেলে অবশ্যই ঝর্ণার উৎসগুলো টিকিয়ে রাখা। জুম চাষ করলে এগুলো খেয়াল রাখা। জীবনে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি ও প্রাণী সম্পদের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।