

মো.গোলামুর রহমান, লংগদু
ভারত থেকে চোরাই পথে অবৈধ ভাবে ভারতীয় সিগারেট দেশে ঢুকছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মারিশ্যা হতে দুরছড়ি হীরার চর কালাপাকুজ্যা হয়ে গাঁথাছড়া নামক স্থানে এসব সিগারেট আসে এবং বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লংগদু জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মীর মোর্শেদ, এসপিপি,পিএসসি এর নির্দেশনায় ,ভারপ্রাপ্ত উপ- অধিনায়ক মেজর রিফাত উদ্দিন আহমেদ লিওন এর নেতৃত্বে একটি বি টাইপ টহল দল নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গাঁথাছড়া এলাকায় পৌঁছেন সেনাবাহিনী।
উক্ত টহল দল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মাইনি খালের উভয় পাশে দুইটি নৌকায় গোপনে অবস্থান নিয়ে থাকে।দল দুটির নের্তৃত্ব দেন মেজর রিফাত এবং ক্যাপ্টেন রাফিউল ইসলাম রাফাত।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সন্দেহভাজন একটি নৌকায় তিনজন লোকসহ গাঁথাছড়া ব্রীজের নিচ দিয়ে যেতে থাকে। নৌকাকে থামতে বললে তারা দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে, সেনাটহল দল দুটি নৌকা নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করলে নৌকা থেকে চোরাকারবারিরা পানিতে লাফ দেয়,নদীর মাঝখানে অধিক স্রোত একই সাথে ভারী বর্ষনের ফলে অন্ধকারে দৃষ্টির আড়ালে পালিয়ে গেলেও অপর একজনকে পানিতে ধরে ফেলে সেনাবাহিনী।
আটককৃত ব্যাক্তি হচ্ছেন, লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মোহাম্মদ ফিরোজ। তিনি মাইনী ইউনিয়নের গাঁথাছড়া মিস্তিরি টিলা ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। অভিযোগ আছেন ছাত্রদলের ছায়াতলে থেকে এধরণের অপরাধ মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সে।
তৎক্ষনাৎ চোরা কারবারির নৌকা তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় সিগারেট জব্দ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লংগদু জোন।
বিশ্বস্ত সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত সিগারেট দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়িতে পৌঁছাতে চোরাকারবারি গ্রুপ বাঘাইছড়ি,মারিশ্যার পাহাড়ী জনপদ ও কাপ্তাই হ্রদকে ব্যবহার করে। এসব চোরাচালানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন বলেন জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন।।