

মো.গোলামুর রহমান,লংগদু(রাঙ্গামাটি)
ভারত থেকে চোরাই পথে অবৈধ ভাবে ভারতীয় সিগারেট দেশে ঢুকছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য পাওয়া যায়। মারিশ্যা হতে খেদারমারা এলাকা হয়ে দুরছড়ি পাবলাখালী এলাকার মধ্য দিয়ে পেয়ারা ছড়া লেম্বু ছড়ি এলাকায় অবৈধ মাদকের চোরাচালান আসে। পরবর্তীতে সেখান থেকে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়িতে ভারতীয় অবৈধ (সিগারেট, গাঁজা ইয়াবা)মাদকের চোরাচালান যায় বলে তথ্য পাওয়া যায়।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লংগদু জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মীর মোর্শেদ, এসপিপি,পিএসসি এর নির্দেশনায় ,ভারপ্রাপ্ত জোন টুআইসি মেজর রিফাত উদ্দিন আহমেদ লিওন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সাবজোন কমান্ডার মেজর ফেরদৌস এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রফিক এর নেতৃত্বে দুইটি বিশেষ অপারেশন দল গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় লেম্বুছড়ি মদন ঘাট এলাকায় পৌঁছেন।
উক্ত অপারেশন দল দুটি চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মদনঘাট এলাকায় গোপনীয়তার সাথে ফাঁদ পেতে অবস্থান নিয়ে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় সন্দেহভাজন একটি নৌকা মদনঘাট এলাকায় ,নদীর ঘাটে ভীরতে দেখা গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে।টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রফিক নৌকাটিকে গোপনে আটকানোর চেষ্টা করলে চোরাকারবারী দল সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে রাতের অন্ধকারে ঝড় বৃষ্টির মাঝে নৌকা দিয়ে পালিয়ে যায় ।
পরবর্তীতে নদীর ঘাটে তল্লাশি করে নদীর চরের মাঝখান হতে বস্তা বন্দী অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় সিগারেট জব্দ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লংগদু জোন।যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা।
বিশ্বস্ত সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত মাদকের চোরা চালান (সিগারেট) দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়িতে পৌঁছাতে চোরাকারবারি গ্রুপ বাঘাইছড়ি,মারিশ্যার পাহাড়ী জনপদ ও কাপ্তাই হ্রদকে ব্যবহার করে। এসব চোরাচালানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন।।