ডেস্ক রিপোর্ট।।
জাপানে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পর দেশটিতে আরও ভূমিকম্প এবং সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। এসময় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা।
ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছে। উদ্ধারকারীদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছে।
মঙ্গলবার টোকিও হানেদা বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি জেট বিমান ভূমিকম্পে আহতদের ত্রাণ সরবরাহ করতে যাওয়ার পথে একটি উপকূলরক্ষী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে হয়। এতে পাঁচজন নিহত হয়।
এই ভূমিকম্পে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা, তবে বেশ কয়েকটি শহরে বহু ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কিছু মানুষ আটকাও পড়েছেন।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা মঙ্গলবার দেশের পশ্চিম উপকূলের কিছু অংশে সুনামি সতর্কতা তুলে নিয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা পরেও নোটো উপদ্বীপের উত্তর অংশে জনসাধারণের যাতায়াত সীমিত রয়েছে।জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ভূমিকম্পের পর একটি ধসে যাওয়া রাস্তা ওই এলাকায় প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।
সতর্কতা জারির পরই দেশটির একাধিক স্থানে সিরিজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাতারাতি সেখানে ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেগুলোর বেশিরভাগের কম্পনই ৩ মাত্রার বেশি ছিল।
২০১৮ সাল থেকে নোটো উপদ্বীপ অঞ্চলে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর জাপান সরকারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/