অনলাইন ডেস্ক।।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে শহর-গ্রামের মাঠ-ঘাট থেকে শুরু করে খোলা ময়দান কিংবা হাটবাজার। ইতিমধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেছে এক অঙ্কের ঘরে। এই অবস্থায় বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ হানা দিয়েছে কয়েকটি জেলায়, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও নীলফামারির ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে গড় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ঢাকা ও সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে।
বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে অতি ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অতি ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অতি ঘন কুয়াশার কারণে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকতে পারে।
এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিনে আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়েও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন পারদ আরও নিচে নামতে পারে। এছাড়াও ঘন কুয়াশা শীতের অনুভূতি আরও বাড়াবে। এবং তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি অনুভূত হলেও, মূলত তাপমাত্রা ৭-৮ ডিগ্রি থাকবে।
আজিজুর রহমান আরও বলেন, আগামী ৭ তারিখ নাগাদ তাপমাত্রা আস্তে আস্তে আরও কমবে। বিশেষ করে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী ও নওগাঁ এলাকায়। এ সময় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/