রাঙ্গুনিয়াতে জরাজীর্ণ বসতঘরে বৃদ্ধ দম্পত্তির মানবেতর জীবন যাপন

।। মোঃ ইউসুফ, রাঙ্গুনিয়া।।
চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ বেতছড়ি এলাকায় জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে অসহায় বৃদ্ধ মাহমুদুল হক নামে এক দম্পত্তি। বয়সের ভারে রোগাক্রান্ত হয়ে করতে পারছেন না দিনমজুরের কাজ।

এমন সংবাদে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া ইসলাসপুর ইউনিয়নের বেতছড়ি গ্রামের মাহমুদুল হক (৮৫) এর পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যের বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষায় চলে তার সংসার। বেতছড়ি গ্রামে পাহাড়ের উপর ভাঙ্গা ঘরে চলছে তাদের বসবাস।

জানা যায়, অসহায় মাহমুদুল হক এর স্ত্রী তাহেরা খাতুন। মেয়ে নাতনী নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। নাতনির স্বামী না থাকায় মেয়ে ও নাতনীদের খরচ চলে তার ভিক্ষার চাউল দিয়ে।অন্যদিকে নাতিন জামাই খোজখবর না নেওয়ায় এখন তিনি দিশেহারা।

মাহমুদুল হক (৮৫) তার সত্তরোর্ধ্ব বয়সী স্ত্রীকে নিয়ে বহু বছর ধরে জরাজীর্ন ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে আসছেন। জীবন যাপনের জন্য মোটামুটি ভালো একটি আশ্রয়স্থলের অভাবে বহু বছর ধরে মাটির দেওয়াল ও টিনের ছাউনি সম্বলিত ঘরে বসবাস করতেন। ঘর অনেক পুরাতন হওয়ায় ঘরের টিন মাটির দেওয়াল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে বর্তমানে বসবাসের অনুপযোগী প্রায় যা বহু দিন আগে থেকেই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই মানুষের কাছ থেকে নামমাত্র সাহায্য এনে কোনমতে টিন ও ঘরের পলিথিন দিয়ে জীবন যাপন করে আসছিলো বৃদ্ধ এ দম্পত্তি। দুই ছেলে, এক মেয়ে নাতনি ও স্ত্রীকে নিয়েই অসহায় মাহমুদুল হকের পরিবার। এক ছেলে বিয়ে করে তারা তাদের পরিবারকে নিয়ে শশুর বাড়িতে থাকেন। ও এক ছেলে এলাকায় একটি চায়ের দোকানে কাজ করে।

অসহায় মাহমুদুল হক বলেন, শুনেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় গরীবদের নাকি ঘর দেয়। আমিও যদি একটি ঘর পেতাম বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম, মরার আগেও অন্তত একটু শান্তি পেতাম, ভাঙ্গা ঘরে আর থাকতে হত না। তিনি আরোও জানান, ২৫ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে আমার বসবাস। মেঘ দেখলে বৃষ্টির ভয়। 

স্থানীয় বেতছড়ি সমাজ প্রতিনিধি মোঃ ওবাইদুল হক (রতন), মোঃ জমিস উদ্দীন, মোঃ নুরুল আলম বলেন, আসলেই মাহমুদুল হক ও তার স্ত্রী বর্তমানে চরম ভোগান্তির শিকার। আমরাও সামাজিক ভাবে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছি। ছেলেরাও বাবা-মাকে সহযোগিতা করতে অপারগ। এখন এই বৃদ্ধ অসহায় বসতঘরটি মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য, আরফাত হোসাইন তালুকদার বলেন, বয়স্ক ভাতা পায়,সরকারি বাবে আরো অনন্য সুযোগ সুবিধা পায়।বর্তমানে সরকারীভাবে কোন ঘর নেই। পরবর্তীতে যদি ঘর আসে তখন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।