রামু প্রতিনিধি: ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে রামুর চৌমুহনীস্থ বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় রামু চৌমুহনী স্টেশন থেকে তাকে আটক করেন রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুনয়ন বড়ুয়া।
গ্রেফতারকৃত নবীউল হক আরকান রামু উপজেলা যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক। তিনি রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া গ্রামের সৈয়দ সিকদারের ছেলে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন- বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামী নবীউল হক আরকানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে রামুর চৌমুহনীস্থ বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রামু থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন। মামলায় রামুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টোসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নবীউল হক আরকান এ মামলার ১৬ নাম্বার আসামী।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এরা হলেন- রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হক, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা ছৈয়দ নুর, রামু উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি মিজানুল হক রাজা, রামুর মন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বাবলা, পূর্ব রাজারকুল এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদী মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন সহ ১০-১৫ জন নেতা কর্মী নিয়ে তৎকালীন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কক্সবাজার -৩ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী লুৎফর রহমান কাজলের রামু চৌমুহনীস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রচার – প্রচারণা পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অবস্থান করছিলেন। এসময় উল্লেখিত আসামীরা মিছিল নিয়ে এসে কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা কর্মীদের ৮-১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ৮টি মোটরসাইকেলে ডিজেল ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়,আসামীরা নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে ককটেল ও হাত বোমা, শটগান, দেশি বিদেশি বিভিন্ন রকমের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একযোগে গুলিবর্ষণ করে। একইসময় আসামীরা সহ অজ্ঞাতরা নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলে বাদী মাহিন সহ উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা বাঁধা প্রদান করলে আসামীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় বাদী মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন সহ ১০-১৫ জন গুরুতর আহত করা হয় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।