রামুতে মানব পাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন রোধে মতবিনিময় সভায়

সোয়েব সাঈদ, রামু প্রতিনিধি
‘মানব পাচার হলো ঘৃন্য মানবাধিকার লংঘনের একটি। বৈশ্বিক এ অপরাধ রুখতে আমাদের অনিয়মিত অভিবাসন রুখতে হবে।’- এমন মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের রামুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: এরফানুল হক চৌধুরী।

ঊুধবার, ১৫ অক্টোবর কক্সবাজারের রামু উপজেলায় হিমছড়ি কনফারেন্স রুমে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় মানব পাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে সুরাইয়া আমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নুরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন নাহার, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, রামু থানার উপ-পরিদর্শক মো: তৌহিদুর আরেফিন ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কক্সবাজার এমআরএসসির কো-অর্ডিনেটর মো: আজিমুল হকসহ অন্যরা।

কর্মশালার স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ব্র্যাকের কক্সবাজারের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর অজিত নন্দী। মানব পাচার সার্ভাইভারদের পাশে দাঁড়াতে ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে জন-সচেতনতা গড়ে তুলতে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার মো: শিহাবুল হোসেন। আজকের মতবিনিময় সভায় মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা নিজেদের মানব পাচারের দু:সহ অভিজ্ঞতা বর্ননা কওে সরকারসহ সবাইকে এই অপরাধ রুখতে এগিয়ে আসতে বলেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার মানবপাচার প্রতিরোধের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক, মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিবর্গ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দসহ আরো অনেকে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এবং সারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও- ব্র্যাক, ১৯৭২ সালের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দেশে ও দেশের বাইরে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। ব্র্যাকের এই প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভিবাসন ও মানব পাচারপ্রবণ জেলাসমূহে বিদেশগামী নারী ও পুরুষের মাঝে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিদেশ-ফেরতদের বিমানবন্দরে সহায়তা, পুনরেকত্রীকরণ, অভিবাসন খাতে এডভোকেসি ও নানাবিধ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।