রামুতে রিক এর কৈশোর উন্নয়ন মেলা

সোয়েব সাঈদ, রামু
নতুন প্রজন্মকে সুস্থ মেধা বিকাশ ও সংস্কৃতির আলোয় গড়ে তোলার প্রত্যয়ে রামুতে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী সমৃদ্ধি কৈশোর উন্নয়ন মেলা, বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর আয়োজনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় শনিবার, ২৪ মে রামু উপজেলায় পরিষদের বাঁকখালী মিলনায়তনে বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল প্রদর্শনী মূলক মেলার স্টল, দেয়ালিকা প্রদর্শন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, ব্লাড গ্রুপিং, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে অবদান রাখা সামাজিক, ক্রীড়া, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের সম্মাননা প্রদান ও মেন্টর সম্মাননা প্রদান।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কিশোর-কিশারী, অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে উন্নয়ন মেলা, ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছিল আনন্দ-উদ্দীপনায় ভরপুর। এতে রামু উপজেলার বিভিন্ন কৈশোর ক্লাবের সদস্যরা তাদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন অভিভাবকরাও। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রামু থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৈয়বুর রহমান।

রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর কক্সবাজার এরিয়া ব্যবস্থাপক মো. ইসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সমাজ সেবক ফরিদুল আলম চৌধুরী, চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও কৃতি ফুটবলার রুহুল আমিন রকি, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ এবং বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এর সংগীত শিল্পী আবুল কাশেম।

রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) কক্সবাজারের এসিস্ট্যান্ট টেকনিক্যাল অফিসার সজল দেবনাথের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী আয়োজন সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- রিক এর রামু উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার সৌরভ পাল।

অনুষ্ঠানে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গনে অবদান রাখা ৪ জন সামাজিক ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক ও সংগীত শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সমাজসেবায় রামুর মন্ডলপাড়া গ্রামের সমাজ সেবক ফরিদুল আলম চৌধুরী, ক্রীড়া ক্ষেত্রে চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি, কৃতি ফুটবলার রুহুল আমিন রকি, সাংবাদিকতায় রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ এবং সংগীতে বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এর তালিতাভূক্ত শিল্পী আবুল কাশেম।

অনুষ্ঠানে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ তৈয়বুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এদেশে শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রিক এর কৈশোর মেলায় ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশে সহায়ক। এ আয়োজন কিশোর কিশোরীদের মেধার উন্নয়ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এ ধরনের আয়োজন বৃদ্ধি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আসা অভিভাবকরা জানান, রিক এর এ আয়োজন কিশোর কিশোরী সন্তানদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ও সাহসের জন্ম দিয়েছে। যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়ক হবে। এ ধরনের উন্নয়ন মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা কেবল তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাকেই উজ্জীবিত করে না, বরং তাদেরকে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।