সোয়েব সাঈদ, রামু: কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী জনপদ ডাকভাঙ্গা ও মৈষকুম গ্রামে বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ শিক্ষা প্রকল্পের উদ্যোগে পরিচালিত মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ অংশগ্রহনে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সকালে মৈষকুম ওসমান সরওয়ার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফুন্নাহার।

‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর কান্ট্রি রি-প্রেজেন্টেটিভ মাছুম বিল্লাহ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার। ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর কনসালটেন্ট (প্রোগ্রাম ডেভলপমেন্ট) শংকর কুমার দাশ, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ওসমান গনি, মো. ছৈয়দ আলম ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কাউয়ারখোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তাজ উদ্দিন, ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ হাবিব উল্লাহ সিকদার, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদু শুক্কুর, ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী খান, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি হর্টি কালচার সেন্টারের হিসাব রক্ষক প্রলয় কান্তি দে, মহিলা ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার, মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বেগম। এছড়াও বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির নেতবৃন্দ এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের সুস্থ-সবল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্রীড়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। রামুর কাউয়ারখোপ এবং পাশর্^বর্তী কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে বেসরকারি সংস্থা ‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে অন্ধকারাচ্ছন্ন, অবহেলিত ও দূর্গম এসব এলাকাকে আলোকিত করেছে। এ দুটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বিষয়টি গুরুতে¦র সাথে পালন করা হয়। যা এলাকার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত আরো উন্নত ও সমুজ্জ্বল করতে সহায়ক হবে।

‘ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ’ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. জুয়েল তালুকদার জানান, প্রতিযোগিতায় মৈষকুম ওসমান সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডাকভাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, বিদ্যালয়ের অভিভাবক, কর্মচারি, পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা (ক্যাটাগরি-২) প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। এরমধ্যে ৩০টি ইভেন্টে প্রায় ৪ শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা মৈষকুম এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা ডাকভাঙ্গা গ্রামে ডাকভাঙ্গা বাংলাদেশ নামে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত দুটি বেরসকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি ফিডার স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। এরফলে এসব অবহেলিত জনপদের শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।