

রামু প্রতিনিধি
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, প্রজন্মকে জ্ঞানের জগতে প্রবেশ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতার কারণে বইবিমুখতা বাড়ছে। এতে আমাদের জীবনব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন আসক্তিতে শুধু শিক্ষার্থীরাই বই থেকে দূরে চলে যাচ্ছেনা, আমরা সবাই বইকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে বই পাঠের বিকল্প নেই। নিজেকে মানবিক গুণসম্পন্ন করতে বই পড়তে হবে, লাইব্রেরীতে আসতে হবে। বই পাঠ আমাদের চিন্তা করতে শেখায়, উপলব্ধির জন্ম দেয়। জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় এবং সৃষ্টিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার দূর করে, বই পাঠাভ্যাস বাড়াতে হবে। বই পাঠের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমৃদ্ধ করতে হবে রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে। সমাজের আলোকিত ও জ্ঞান চর্চার মানুষের হাতেই থাকতে হবে এই লাইব্রেরীর দায়িত্ব। যারা বই পাঠের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে। প্রজন্মকে বইয়ের দিকে ফেরাতে পারবে। রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে আধুনিকায়ন করেতে এবং জ্ঞান চর্চা ও মুক্তচিন্তা বিকাশ কেন্দ্রে পরিণত করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা দিবে।
রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, রামু পাবলিক লাইব্রেরীর সহ-সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক ‘সুজন’ রামু উপজেলার সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম, অর্থ সম্পাদক এ কে খাঁন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খালেদ শহীদ, কার্য নির্বাহী সদস্য অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী মঞ্জুর হাছান ভূঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তরুন বড়ুয়া, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবু তাহের, রামু সরকারি কলেজের শিক্ষক মানসী বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেবেশ চন্দ্র দাশ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮০ সালে রামুর আলোকিত গুণীজনরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই পাবলিক লাইব্রেরী। রামু পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিটি ধুলোকণায় মিশে আছে তাদের শ্রমের সার্থকতা। এটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। আগামী প্রজন্ম যেন এই লাইব্রেরীর সুফল পায়, সেই লক্ষে সকলকে সহযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। জ্ঞানের উৎস রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করতে হবে। এ জন্যে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পিত পরিকল্পনা। রামু পাবলিক লাইব্রেরীকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।