দীপক সেন, ষ্টাফ রিপোটার, মহালছড়ি:: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা এলাকাসহ পুরো কাপ্তাই হৃদের সমগ্র এলাকায় আগামী ০১ মে ২০২৫ তারিখ হতে পরবর্তী তিন মাসের জন্য হৃদ হতে সব ধরনের মাছ আহরণ শিকার, বাজারজাত করণ, মাছ শুকিয়ে শুটকি করে বিক্রয় করা সহ হৃদের মাছ ও শুটকি পরিবহনের উপর সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কাপ্তাই হৃদে কার্প
জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ, পোনা মাছের সুষ্ঠ বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদবৃদ্ধি করে, হৃদের প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন ও মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে সরকারীভাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় মহালছড়িসহ কাপ্তাই হৃদ এলাকা হতে সব ধরনের মাছ আহরণ, সংরক্ষণ শুটকি করে বাজারজাতকরণ ও শুটকি এবং সব ধরনের মাছ পরিবহনের উপর সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
কাপ্তাই হৃদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুল্লার সভাপতিত্বে গত ১৬ এপ্রিল রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন মহালছড়ি উপকেন্দ্রের উপকেন্দ্র প্রধান নসরুল্লাহ আহমেদ জানান প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আগামী ০১ মে হতে পরবর্তী ০৩ মাস কাপ্তাই হ্রদের সমগ্র লোকায় মৎস্য আহরণ মৎস্যকে শুকিয়ে শুটকি করে সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদের বৃদ্ধি এবং এর ফলে মহালছড়ির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাপ্তাই হৃদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন অসাধু জেলে, ব্যবসায়ী মাছ পাচারকারীরা যাতে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন করতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইননানুগ ব্যবস্থা
নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ সময় মহালচড়ির নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ড এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলে তিনি বলেন নিষেধাজ্ঞাকালীন মহালছড়িতে সকল প্রকার বরফকল বন্ধ থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/