খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি।।
খাগড়াছড়িতে উৎসবমুখর ও বর্ণিল পরিবেশে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনুকরণীয় স্বেচ্ছাসেবক সম্মাননা অনুষ্ঠান। শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের মিলনপুরস্থ হোটেল গাইরিং হলরুমে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘আলো’-এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজসেবা, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, মানবিক সহায়তা ও সামাজিক নেতৃত্বে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খাগড়াছড়ি জেলার ৬ জন নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার। তিনি বলেন—“স্বেচ্ছাসেবীরা সমাজের অনুপ্রেরণা। তাদের নিঃস্বার্থ কাজের কারণেই মানবিক মূল্যবোধ এখনো বেঁচে আছে। তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত করতে এমন আয়োজন বড় ভূমিকা রাখবে।”
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকা স্থানীয় এনজিও সংস্থা ‘আলো’-এর নির্বাহী পরিচালক অরুন কান্তি চাকমা বলেন— “মানুষ মানুষের জন্য—এই বিশ্বাস থেকেই স্বেচ্ছাসেবীরা ছুটে চলেন দুর্দিনে। আমরা সেই সব অনুকরণীয় কর্মীদের সামনে তুলে ধরতে চাই যারা নিঃস্বার্থভাবে মানবতার সেবা করে যাচ্ছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছাসেবক শক্তিকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বিশিষ্ট সমাজসেবিকা ইন্দ্রা দেবী চাকমা,তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রিয়কর চাকমা,সমাজসেবক ধীমান খীসা,খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা।
অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা, রক্তদান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মানবিক সহায়তা, নারী-শিশুর অধিকার রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাদের অবদানের স্বীকৃতি সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা থেকে নির্বাচিত ৬ জন স্বেচ্ছাসেবককে ‘অনুকরণীয় স্বেচ্ছাসেবক সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে স্মারক, সনদপত্র ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়।
দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে মিলনপুর এলাকা ছিল স্বেচ্ছাসেবীদের পদচারণায় প্রাণবন্ত। বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের মিলনমেলা, ছবি তোলা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্য দিয়ে পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল উৎসবের আবহ।
অনুষ্ঠান শেষে ‘স্বেচ্ছাসেবকের শক্তি সমাজের শক্তি’ শীর্ষক আলোচনা পর্বে অংশ নেন উপস্থিত অতিথি, সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/