

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নে নুনছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে পার্বত্য কৃষির অগ্রযাত্রার উদ্যোগে বুধবার (৫ জুন) বিকাল ৪টায় “করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আনুমং মারমা সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য কৃষির অগ্রযাত্রার ফাউন্ডার ইমন ত্রিপুরা।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইমন ত্রিপুরা বলেন, পরিবেশ দিবস উদযাপন করা যেমনি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ দিবসে আলোচনার বিষয়গুলি বাস্তবে অনুসরণ করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে বন বিনষ্ট করে ফল বাগান সৃজন করে ফল বাগান থেকে আয় বৃদ্ধি করে পাহাড়ের মানুষদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। অন্য দিকে বন বিনষ্ট করার কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। আমাদের ফসল উৎপাদনের সময় মাটির উর্ভরতা সংরক্ষণ করতে জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি করা, সকল ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন ও দায়িত্ব শীল হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়। নিজেদের চারিপাশে পরিবেশ অনুকূল রাখতে বসত বাড়ী ও গ্রামের আশে পাশে ছায়া দানকারী কাঠ জাতীয় ও ফলের গাছ রোপন করতে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার। আলোচনা শেষে একটি লটকন ফল গাছের চারা রোপন করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মিসানু মারমা, থোইগ্য মারমা, ক্যচিং মারমা, কংজঅং মারমা সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ২০ মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরের বছর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানর উপায় খুঁজতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তখন সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনটি ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায়। পরে ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিবছর দিবসটি সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে। -বিজ্ঞপ্তি