আরিফুল ইসলাম মহিন, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফের মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ২৮ জানুয়ারি রাতে দীঘিনালার সাধনাটিলা এলাকায় বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা কোম্পানি রবির একটি টাওয়ারের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত সোমবার থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দীঘিনালায় রবি কোম্পানির ৫টি টাওয়ারের সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আবারও হামলা চালিয়ে একটি টাওয়ারের বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সম্পৃক্ততা নিয়ে কথাবার্তা শোনা গেলেও, কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বর্তমান সরকারের সাথে ইউপিডিএফের দূরত্ব তৈরি করতে একটি মহল এই ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।”
এটি নতুন নয়, এর আগেও ২২ জানুয়ারি দীঘিনালার বাবুছড়া ইউনিয়নে একযোগে পাঁচটি টাওয়ারে হামলা চালিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনার পর, স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে, তবে এখনো অপরাধীদের শনাক্ত করা যায়নি।
এই ধরনের হামলার কারণে স্থানীয় এলাকায় মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকরা সমস্যায় পড়ছেন যোগাযোগের অভাবে।
এর আগে, ২২ জানুয়ারি যখন এই হামলাগুলি ঘটেছিল, তখন অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে এটি আঞ্চলিক সংগঠনগুলির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হতে পারে, তবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ধরনের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, “এই হামলা শুধুমাত্র মোবাইল টাওয়ারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এদিকে, নিরাপত্তা বাহিনী এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে, তবে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
সবশেষে, খাগড়াছড়ির এলাকাবাসী এবং প্রশাসন এই ধরনের হামলার শিকার হয়ে ক্ষুব্ধ এবং তারা চান, এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।