খাগড়াছড়িতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন : টেকসই পর্যটনে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
“পর্যটন এবং টেকসই রূপান্তর”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জেলা সদরের হোটেল গাইরিং-এর সম্মেলন কক্ষে জাবারাং কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার, ট্যুরিস্ট পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নিশাত রায়, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, উন্নয়নকর্মী এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়ি পাহাড়ি জনপদের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং নানাবর্ণের জাতিসত্তার সহাবস্থান এই অঞ্চলকে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে। তাই এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে টেকসই পর্যটনের নীতিমালা অনুসরণ, পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং স্থানীয় জনগণকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত জরুরি।

আলোচনায় “পর্যটনে সবুজ প্রযুক্তির প্রসার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা এবং স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীদের ভূমিকা” বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বক্তারা উল্লেখ করেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটন খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সংরক্ষণে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

তাঁরা আরও বলেন, খাগড়াছড়ি শুধু পাহাড় ও ঝরনার সৌন্দর্যে নয়, এখানকার মানুষের আতিথেয়তা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতেও সমৃদ্ধ। এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারলে একদিকে যেমন স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে পার্বত্য অঞ্চল।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO), বাংলাদেশ সরকার এবং কানাডা সরকারের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই পর্যটন গড়ে তোলার নানা দিক নিয়ে সুপারিশ প্রদান করা হয়।