

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
মানবতার কল্যাণে নিবেদিত একটি সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসহায়, দুর্যোগপীড়িত ও বিপন্ন মানুষের পাশে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, যুব রেড ক্রিসেন্ট খাগড়াছড়ি ইউনিটের নতুন যুব সদস্য (স্বেচ্ছাসেবক) সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কনফারেন্স রুমে দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান মো. আল আমিন, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠন প্রশাসন ও নিয়োগ বিভাগীয় প্রধান ইমরান হোসেন আসিফ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ যুব প্রধান-১ মো. আব্দুল আল নোমান, দুর্যোগ ও মানবিক সাড়া প্রদান বিভাগীয় প্রধান আফরোজা আক্তার পপি, বিভাগীয় উপ-প্রধান অপু চন্দ্র দে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগীয় প্রধান মো. জাহিদুল আলম, বিভাগীয় উপ-প্রধান রিমুনী ত্রিপুরা, তহবিল সংগ্রহ বিভাগীয় প্রধান শিমুল চন্দ্র দাশ, বিভাগীয় উপ-প্রধান জান্নাতুন ফেরদৌস, সংগঠন প্রশাসন ও নিয়োগ বিভাগীয় উপ-প্রধান সাবির খান, এবং প্রশিক্ষণ ও সহশিক্ষা বিভাগীয় উপ-প্রধান সাজু আহমেদসহ অন্যান্য যুব স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।
নতুন সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বিভিন্ন কলেজ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে যোগ্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে মোট ৭৩ জন নতুন যুব স্বেচ্ছাসেবককে খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই নতুন সদস্যরা আগামী দিনে মানবিক সেবা, রক্তদান, দুর্যোগকালীন ত্রাণ কার্যক্রম ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রেড ক্রিসেন্টের এই উদ্যোগ তরুণ সমাজকে মানবিকতা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার পথে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।
সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সভাপতি মো. আল আমিন বলেন,“রেড ক্রিসেন্ট শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি মানবতার জন্য কাজ করার এক বিশাল পরিবার। নতুন সদস্যদের আমরা স্বাগত জানাই,তাদের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে।”
খাগড়াছড়ির নতুন প্রজন্মের তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব ও উৎসাহ দেখে উপস্থিত অতিথিরাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ ইউনিট ভবিষ্যতে জেলার যেকোনো দুর্যোগ ও মানবিক পরিস্থিতিতে প্রথম সারির সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।