জাতীয় পর্যায় সংগীত প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করলেন লক্ষ্মীছড়ির অর্ণিতা মহাজন

মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর ফাইনাল পর্বে ১ম স্থান অর্জন করেছেন খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ির মেয়ে অর্ণিতা মহাজন। অর্ণিতা মহাজন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী। লক্ষ্মীছড়ি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রমতোষ মহাজনের কন্যা।

২৩ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে এর উদ্বোধনী দিনে কলেজ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক (একক) এবং গণসংগীতে (দলীয়) প্রথম স্থান অর্জন করে অর্ণিতা মহাজন। এরপর জেলা পর্যায়ে রাঙামাটিতে অবস্থিত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলে সেখানেও দেশাত্মবোধক গান এবং গণসংগীতে প্রথম নির্বাচিত হয়। বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়ে বিচারকদের রায়ে গণসংগীতে প্রথম এবং দেশাত্মবোধক গানে তৃতীয় স্থান অর্জন ধরে রাখে।

এরপর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে অনুষ্ঠিত গণসংগীত বিষয় নিয়ে ৮টি বিভাগের প্রতিযোগিদের সাথে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়। জাতীয় পর্যায়ের ফাইনালে এই মহাযুদ্ধে গণসংগীতে প্রথম স্থান নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করে লক্ষ্মীছড়ির গর্ব অর্ণিতা মহাজন। ফাইনাল পর্বে বিচারক হিসেবে ছিলেন, ফেরদৌসী আরা, অনিমা রায়, ইথুন বাবু, মৌসুমী চৌধুরী প্রমুখ।

পুরস্কার বিতরণী পর্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য ড. মো. নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

এই কঠিন যুদ্ধের বিজয় অর্জনের পর অর্ণিতা মহাজন বলেন, জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা মোটেও সহজ ছিল না। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা সবসময় সাথে ছিল। মা-বাপি, ভাইয়ের সার্বক্ষণিক সাপোর্ট এবং শিক্ষক ও গুরুজনদের আর্শীবাদে আমাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।