খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতবর্ষ পাড়া এলাকায় অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করেছে লোগাং জোন (৩ বিজিবি)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১১টায় পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) এবং লোগাং জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ভারতবর্ষ কারবারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

লোগাং জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ মফিজুর রহমান ভূঁইয়া (পিএসসি, এএসসি) এর উপস্থিতিতে ১৫০টি অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও, কচুছড়িমুখ, বৌদ্ধমনিপাড়া, ওয়াইনথং ও নাড়াইছড়ি বিওপি কমান্ডারগণ তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ১০০টি অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেন।

জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ মফিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, পার্বত্য এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, আর্ত মানবতার সেবায় এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিজিবি সর্বদা কাজ করে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, শীতকালে অসহায় পরিবারগুলোর জন্য কম্বল বিতরণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী প্রদান তাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারগুলো এই সহায়তা পেয়ে খুবই আনন্দিত।

এলাকার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী পেয়ে তারা খুবই উপকৃত হয়েছেন। এই সামগ্রী তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিজিবির এই উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এলাকাবাসী বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, এই ধরনের মানবিক কার্যক্রম তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

জোন কমান্ডার আরও বলেন, বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষায় নয়, স্থানীয় জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। বিজিবির এই মানবিক উদ্যোগ পার্বত্য এলাকার মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়