প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি।। খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
সোমবার (৩ মার্চ ২০২৫) বিকালে তিনি হঠাৎ এ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের আহ্বায়ক কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, জেলা পরিষদের সদস্য ও বাজার ফান্ড প্রশাসনের আহ্বায়ক প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল সংকট এবং জরাজীর্ণ ভবনের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ৫০ বছরের পুরনো হাসপাতাল ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদে ফাটল ধরেছে, ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে, যা রোগী ও হাসপাতালের কর্মীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় অনেক রোগী ভয়ে চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ৩১ শয্যার এই হাসপাতালে যেখানে ১৪ জন চিকিৎসক ও ১১ জন নার্স থাকার কথা, সেখানে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক ও ৪ জন নার্স প্রতিদিন রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। পরিদর্শনকালে হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না, তবে তার অফিস কক্ষের জানালা খোলা পাওয়া যায়।
পরিদর্শনকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, “মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জেলার পুরনো হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানের অভাব রয়েছে। বর্তমান ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে চেয়ারম্যান মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি তাফফিজুল কুরআন নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত একতলা বিশিষ্ট মাদ্রাসার ভবন পরিদর্শন করেন, যা এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। এছাড়া চলমান মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রমও তিনি পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শনকালে তিনি পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাসের আহ্বান জানান এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ইফতারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসাইনসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/