সোয়েব সাঈদ, রামু: পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সাহান আরা বানু বলেছেন- দেশে জনসচেতনতা বেড়েছে, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, শিক্ষার হার বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে। এ কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমানো সম্ভব হয়েছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু কমেছে। এসব অবদানের কারণে বাংলাদেশে অনেক পুরস্কারও অর্জন করেছে। এরপরও ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এরমধ্যে বাল্যবিয়ে অন্যতম। ১৮ বছরের নিচে ৫০ ভাগ কিশোরী এখনো বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে। বাল্য বিয়ের হার কাংখিত পর্যায়ে কমাতে না পারলে উপার্জনক্ষম মানুষের সংখ্যা হৃাস পাবে। এজন্য সবাইকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের পাশাপাশি পকিল্পিত পরিবার গঠন, মা ও শিশুর পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত এবং প্রজনন ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে অধিক সচেতন হতে হবে।

কক্সবাজারের রামুতে পুষ্টি, প্রজনন স্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের (অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি) অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে এবং রামু উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহায়তা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মা ও কিশোরী সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহষ্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম, আইইএম এর পরিচালক ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর মীর সাজেদুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আফসানা জেসমিন পপি, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নিরুপম মজুমদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক ডা. মো. হোসেন আল মামুন, এইচজিএসপি ও ইউএনএফপিএ এর কো-অর্ডিনেটর ডা. রাহাত আরা নূর, পার্টনার্স ও পিএইচডি’র সিনিয়র ডাইরেক্টর ডা. ডানিয়েল হোসেন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিদ আশরাফ, রামু উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইমতিয়াজ চৌধুরী, রামু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে সুরাইয়া আমিন, পিএইচডি’র রামু উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো. রাকিবুল আলম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, ধেছুয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওসমান গনি, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিবার-পরিকল্পনা পরিদর্শক পবন বড়ুয়া প্রমূখ।

কর্মশালার অংশ হিসেবে কক্সবাজার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং সহযোগী এনজিও সংস্থা এইচজিএসপি’র আওতায় পিএইচডি কর্তৃক মা ও কিশোরী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্টলে আগত গর্ভবতী মা’দের রক্ত পরীক্ষা, প্রসব পূর্ব চেক-আপ, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, জিবিভি, পুষ্টি ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা রোধে কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করা হয়। এ সেবা গুলো বিভিন্ন কর্ণার থেকে প্রদান করা হয়। এসব সেবা প্রদানের স্টলসমূহ পরিদর্শন করে সেবা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন মহাপরিচালক সাহান আরা বানু। তিনি পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রমকে সকল স্তরের জনগনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে পুষ্টি, প্রজনন স্বাস্থ্য, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক নাটিকা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।