

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের বার্তা ছড়িয়ে দিতে খাগড়াছড়িতে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এসময় পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, ধর্মীয় নেতা ও প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন—
“আমরা আবহমান কাল থেকে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ মিলেই বসবাস করছি। এ ঐতিহ্য, সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতাই আমাদের শক্তি। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সাম্প্রদায়িক সহাবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। এটা না থাকলে পর্যটন শিল্প, উৎপাদন, বিনিয়োগসহ কিছুই টিকবে না। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন—
“আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এখন তা ৩১ বিলিয়ন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের তুলনায় উন্নয়ন ও শান্তি-সম্প্রীতিতে বহুগুণ এগিয়ে। আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, বাংলাদেশ একটি রোল মডেল।”
ড. খালিদ হোসেন বলেন—
“যারা বিদেশে দ্বিতীয় ঠিকানা বানিয়েছে, তাদের দেশপ্রেম প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা যারা এদেশে আছি, আমাদের প্রথম ও শেষ ঠিকানা বাংলাদেশ। এই দেশই আমাদের নিরাপদ নিবাস।”
তিনি সততার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন— “চুরি করলে অফিসার হলেও তিনি চোর, রাজনীতিবিদ হলেও চোর। অবৈধ উপার্জনে গড়া দালানে থাকার চেয়ে বৈধ উপার্জনে খড়ের ঘরে থাকা উত্তম। অবৈধ অর্থ দিয়ে গড়া দেহ জান্নাতে যাবে না।”
সভায় বক্তারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান ঘৃণা, হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করে সম্প্রীতির বন্ধনে একসাথে বসবাস করার।