

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা, রামগড়
সারাদেশের ন্যায় কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় ২০০৯ সালের সারডিলার নিয়োগ ও বিতরণ নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর রামগড় উপজেলা শাখা।
সোমবার (২০ই অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় রামগড় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার প্রায় ১০০ জন খুচরা সার বিক্রেতা ও কৃষক অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে সংগঠনের নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে কৃষি সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশজুড়ে লাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের সনদ স্থগিত করা হবে এবং খুচরা সার বিক্রেতা নামে কোনো মহলকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দীর্ঘদিন ধরে দেশে সেবাদানকারী প্রায় ৪৪ হাজার খুচরা বিক্রেতা জীবিকার সংকটে পড়বে এবং ৫ কোটি কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
তাঁরা আরও বলেন, আমরাই কৃষকের সবচেয়ে কাছাকাছি থেকে সার সরবরাহ করি দরকারে বাকিতেও দেই, কৃষকদের নানা পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করি। নতুন নীতিমালায় আমাদের বাদ দিলে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
বক্তারা দাবি জানান, ২০০৯ সালের বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় দীর্ঘদিন ধরে খুচরা পর্যায়ে সার বিক্রির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সেই নীতিমালা বহাল থাকলে কৃষক সহজে সার পাবে, আর বিক্রেতারাও ন্যায্যভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। বক্তাদের মতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় ২০০৯ সনের নীতিমালা বহাল রাখা এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি মো আবুল কাশেম মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুচরা সার ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাবেক আহব্বায়ক মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখে রামগড় উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো: হানিফ, সদস্য বেলাল হোসেন, কৃষকদের পক্ষে ওমর ফারুক প্রমুখ।
এবিষয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ শামীম বলেন, স্মারক লিপিটি পেয়েছি এবং বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।