সেচ্ছাসেবী ও বনবিভাগের সহায়তায় বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল বানর ছানা

সোহানুর রহমান, প্রতিনিধি, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি:
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় লোকালয় থেকে একটি বানর ছানা উদ্ধার হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নের হেড কোয়াটার এলাকা থেকে বন বিভাগ ও স্নেক রেস্কিউ বাংলাদেশ টিমের সেচ্ছাসেবীদের যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বানরটিকে উদ্ধারের পর বন বিভাগের তত্বাবধানে নিয়ে যান।

বন বিভাগের সূত্রে জানাযায়, গত কয়েকদিন থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা বানর ছানাটিকে বসত বাড়িতে আটক করে রেখেছিল একটি চক্র। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগ ও স্নেক রেস্কিউ টিমের সেচ্ছাসেবীরা বানর ছানাটিকে উদ্বার করে।

স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবী হৃদয় বড়ুয়া ও মোঃ নয়ন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে বানরটি একটি বসত বাড়িতে আটক করে রাখা হয়েছিল। খোঁজ পেয়ে বন বিভাগের সহায়তায় বানর ছানাটিকে উদ্বার করা হয়েছে।

দীঘিনালা বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ (বন বিভাগ) মেরুং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্নেক রেস্কিউ টিমের সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে বানর ছানাটির বিষয়ে জানার পর আমাদের লোকজন সহ বানরটিকে উদ্বার করা হয়েছে। এই প্রজাতির বন্যপ্রাণী তথাকথিত গণনার কাজে ব্যবহার করতে দেখা যায়। যে কারণে এটির চাহিদা একটি চক্রের কাছে বেড়েছে। একটি অদৃশ্য বাজার তৈরি হয়েছে।’ বানর ছানাটিকে কিছুদিন তত্বাবধানে রেখে জেলার মাটিরাঙা উপজেলার পিটাছড়া বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে পিটাছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে, যোগ করেন তিনি।

পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল বলেন, অবাধে বনাঞ্চল উজাড়, আয়তন কমে যাওয়া, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল আঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাওয়া, তীব্র খাদ্য ও পানির সংকট ইত্যাদির কারণে বন্যপ্রাণীরা সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে। এই সুযোগে অনেক সময় মানুষের হাতে ধরা পড়ছে এসব প্রাণী। কখনও কখনও আতঙ্কিত হয়ে লোকজন মেরে ফেলছেন লোকালয়ে আসা বন্য প্রাণীগুলোকে। অন্যদিকে, সচেতন মানুষ লোকালয়ে বন্য কিংবা বিপন্ন প্রাণী দেখলে বন বিভাগসহ প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করছে, এমন সংস্থাগুলোকে খবর দিচ্ছেন। এতে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী।