আগাপে কর্তৃক অসহায় ৩৩০ পরিবারের মাঝে গবাদি পশু, ফলজ চারা ও ছাতা বিতরণ

বিপ্লব দাশ, লামা প্রতিনিধিঃ গবাদি পশু, ফলজ চারা, পুষ্টিখাদ্য বিতরণ এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে আগাপে কর্তৃক মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প বিলছড়ি-বিডি ০৫০২ অধীনে কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর অর্থায়নে এলাকায় সম্প্রীতি বন্ধন যেন সুদৃঢ়ভাবে গড়ে উঠে,বাল্য বিয়ে নিরসনসহ সচেতনতা মূলক কার্যক্রম, শিশু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত, অভিভাবকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা ও শিক্ষা সচেতনতার লক্ষে কাজ করে চলেছে আগাপে নামের একটি বেসরকারী সংস্থা।

এ ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রকল্পের উপকারভোগী শিশু পরিবারকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষে কমপেশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (সিআইবি) অর্থায়নে ৩৩০টি উপকারভোগী পরিবারের নিকট বিনামূল্যে ফলজ চারা, ছাতা এবং ৮০টি পরিবারকে ১টি করে ছাগল বিতরণ এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, নার্সিং, বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে কর্মরত ও প্রকল্পের কৃতি সন্তানদের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নস্থ হেব্রোণ মিশনের সভাকক্ষে সংস্থার লোকাল সেন্টার কমিটির চেয়ারম্যান মনতাজন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা,আরো উপস্থিত ছিলেন বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের ও ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান,আগাপে’র, ভাইস চেয়ারম্যান মহেন্দ্র ত্রিপুরা ও এলসিসি কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক যোনা ত্রিপুরা প্রমুখ অতিথি ছিলেন।

আলোচনা শেষে ২টি গরু, ৮০টি ছাগল ও পরিবারে পুষ্টি খাদ্য,৩৩০টি পরিবারে ফলজ গাছের চারা এবং ছাতা প্রদান ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফখরুল ইসলাম।

অভিভাবকদের মাঝে গবাদি পশু প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে মধ্য ও দক্ষিণ বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক যোনা ত্রিপুরা বলেন, সংস্থাটি আগাপে’র অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম করে চলেছে। ভবিষ্যতে আরো দরিদ্র শিশুদের বাছাইয়ের মাধ্যমে অর্ন্তভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের পাশাপাশি লামা সদর ও পৌরসভার কতিপয় হতদরিদ্রও বিশেষ বিবেচনায় সহায়তা করা হয় বলেও জানান যোনা ত্রিপুরা।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:ফখরুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সংস্থাটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন মুলক ও যুবকদের স্বাবলম্বী করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় সার্বিক সহযোগিতার করা হবে। উপকারভোগীদের উদ্যেশ্য করে বলেন পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে বেশি বেশি গাছ লাগান। বৃক্ষ নিধনের ফলে পাহাড় গুলো দিন দিন বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া তামাক চাষীদের শারিরীক সুস্থতার জন্য তামাক চাষ না করে সবজি চাষে উৎসাহিত করে।অনুষ্ঠান শেষে অফিস মাঠ প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি।