থানচি বান্দরবান:
বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়নে এক নারীর নিখোজের কয়েক ঘন্টা পর, খেয়াং নারীর মৃতদেহ পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল ৫ই এপ্রিল রোববার ২০২৫,বিকেল পাচঁটার দিকে খবর পেয়ে থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ মো:নাছির উদ্দিন মজুমদার এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল মৃতদেহ উদ্ধার করে গতকাল রাত বারোটার পরের দিকে নিয়ে আসে,উদ্ধার স্থান নেটওয়ার্ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা হওয়ার কারনে ঘটনার বিস্তারিত জানা সম্ভব হয় নাই।
সামাজিক মাধ্যমে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধারণা অনুযায়ী,আশেপাশে কমলার খোসা,শুকনো খাবার প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে,টুরিষ্ট কতৃক ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম সুত্রে জানা যায়, এই নিয়ে পাহাড়ি বাঙ্গালীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ আতঙ্ক বিরাজ করার লক্ষ করা যাচ্ছে, তবে এই রির্পোট লেখার আগ পর্যন্ত কোন সত্যতা মেলেনি।
উদ্ধার হওয়া মৃত দেহটি চিংমা খেয়াং বয়স আনুমানিক (২৭) তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর মংখ্যং খেয়াং পাড়ার,সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন- মৃত দেহের মাথায় জখম যা দেখে মনে হচ্ছে রাগের বশে থাকে খুব মেরেছে, হয়তো বা ধর্ষনের পর থাকে মেরে ফেলেছে। তবে যেখানে লাশটি পড়েছিলো, সেখান থেকে আমরা যাওয়ার আগে কিছু দুরে নিয়ে এসেছে। লাশ আনতে রাত ৮টায় পৌছি। লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসতে আসতে আড়াইটা হয়ে যায়।
মৃত চিংমা খেয়াং এর চাচাতো ভাই উচিং প্রু খেয়াং প্রতিনিধিকে বলেন ঘঠনার আগের দিন তিনজন লোক জুমে দেখে ভয় পেয়ে সে বাড়িতে চলে আসে, শাশুড়িকে বলে।
গঠনার দিন সকালে জুমে যায় দুপুর হয়ে যাওয়ার পর ফিরে না আসায়, দুইজন খুজতে গিয়ে না পেয়ে আশেপাশে এলোমেলো দেখে তারা ও পাড়ায় এসে তার স্বামীসহ পাড়ার লোকজন খুজতে খুজতে কাপড় চোপর ছাড়া, লিটক্রী সড়ক থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে এবং নিজ বাড়ি থেকে জুমের প্রায় বিশ মিনিট দুরত্বে তার মৃত লাশ খুজে পায়।
থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছির উদ্দিন মজুমদার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন- খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে গত রাতে নিয়ে আসি। আজ পোষ্টমটের্ম এর জন্য বান্দরবানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
