আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
“অভায়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা চয়ন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা করেন ক্ষেত্র সহকারী আবদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি সার্জন শুভ কুমার রাজবংশী, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই নুরুজ্জামান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিসহ শতাধিক মৎস্যচাষী অংশ নেন।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এবং জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১১০ জন মৎস্যচাষীর মাঝে উন্নতমানের দেশি মাছের পোনা বিতরণ করা হয়। এতে উপজেলার গ্রামীণ মৎস্যচাষীরা ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হন এবং দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন উদ্দীপনা পান।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে ৫ জন সেরা মৎস্যচাষীকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। বক্তারা জানান, মৎস্যচাষীদের আন্তরিকতা ও পরিশ্রমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মাছের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে, যা জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সভায় বক্তারা বলেন, অভায়াশ্রম সৃষ্টি করলে দেশীয় মাছ রক্ষা পাবে। জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধি অপরিহার্য। চাষীদের আরও আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা চয়ন বিশ্বাস বলেন- “সরকারি নানা উদ্যোগের ফলে গ্রামে গ্রামে এখন মাছ চাষের বিপ্লব ঘটছে। অভায়াশ্রমের কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো—প্রতিটি পরিবারের পাতে মাছ পৌঁছে দেওয়া।”
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা মৎস্যচাষীদের হাতে পোনা, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি এক আনন্দঘন পরিবেশে সমাপ্ত হয়। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী এই আয়োজন মৎস্যচাষীদের নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে নাইক্ষ্যংছড়িকে দেশীয় মাছ চাষে একটি সমৃদ্ধ উপজেলায় রূপান্তর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/