নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিজিবির সাফল্য

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)। অভিযানে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৫৯০ টাকার বার্মিজ গরু ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১১ নভেম্বর ২০২৫) প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) জানায়— সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও চোরাচালান দমন অভিযান বিজিবির নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদক, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে দায়িত্বশীল ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ব্যাটালিয়নের একাধিক টহল দল সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত ওই অভিযানে ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ভালুখাইয়া বিওপি, জারুলিয়াছড়ি বিওপি, লেম্বুছড়ি বিওপি, হাতিমারাঝিড়ি বিওপি এবং ব্যাটালিয়ন সদরের টহলদল অংশ নেয়। অভিযানের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়, ফলে তারা রেখে যাওয়া বার্মিজ গরু ও বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্য উদ্ধার করা হয়।

অভিযান শেষে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বার্মিজ গরু ও বিভিন্ন প্রকার বাংলাদেশি মালামাল জব্দ করেন। উদ্ধারকৃত সব মালামালের মোট সিজার মূল্য ১০,৭১,৫৯০ (দশ লক্ষ একাত্তর হাজার পাঁচশত নব্বই) টাকা বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি। নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. কে. এম. কপিল উদ্দিন কায়েস বলেন,

“সীমান্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অবৈধ চোরাচালান প্রতিরোধ ও দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবির অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।”

দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবির এ ধরনের ধারাবাহিক অভিযান চোরাকারবারীদের দমন ও সীমান্ত অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে স্থানীয়রা মত প্রকাশ করেছেন।