নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন 

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ফুলতলীতে স্থল মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত।

আহত ব্যক্তির তার নাম মো: তরিকুল (১৭ )। তিনি রামু উপজেলার কাউয়ারকূপ ইউনিয়নের মৈষকুম এলাকার আহাম্মদ রশিদের
ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ফুলতলী সীমান্ত পিলার ৪৮ এর নো-মেন্সল্যান্ড এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চোরাই গরু আনতে গেলে স্থল মাইন বিস্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হয় তরিকুল । বিস্ফোরণে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষতবিক্ষতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়। আহত তরিকুল বর্তমানে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জনা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ফুলতলী সীমান্তে ‘মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তি কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারকুপ ইউনিয়নের মৈষকুম এলাকার বলে একাদিক সুত্রের মাধ্যে জানা গেছে। আহত ব্যাক্তির পা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি।

৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বর শামশুল আলম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্ত ফুলতলীর এলাকার ১১ বিজিবির আওতাধীন বিওপি ৪৮ পিলারের নো-মেন্সল্যন্ডের অভ্যান্তে একটি প্রকট শব্দ শুনা যায়। তখন এলাকার লোকজন দেখতে পাই মাইন বিস্ফোরণে এক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটে থাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বশীল চিকিৎসারা পা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া পরামর্শ দেন।

আরও জানাযায়, গত কয়েক মাস ধরে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী,আমতলী, কম্বনিয়া, জামছড়ির কয়েকটা অরক্ষিত পয়েন্টে দিয়ে প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে শত শত চোরাই গরু নিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্য।’

উল্লেখ্য, গত ( ২৪ জানুয়ারি) শুক্রবার একি দিনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী ও দৌছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তে পৃথক ঘটনায় তিনটি মাইন বিস্ফোরণে তিন জন বাংলাদেশী নাগরিকের পা উড়ে যাওয়ার (বিচ্ছিন্ন) ঘটনা ঘটে।