মো. ইসমাইলুল করিম, প্রতিনিধি:
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান সদরের রাজার মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহ-সাধারণ সম্পাদক উ উইন মং জলি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে এখন 'প্রতারণার দলিল' বলে উল্লেখ করেছেন। উ উইন মং জলি বলেন, ‘দীর্ঘ দুই যুগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য বিএনপি সরকারের আমলে ১৬ বার এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৭ বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এসব আলাপ-আলোচনার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং জেএসএস সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্রীয় বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৮ বছর পার হলেও এটি আজও সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আজ প্রতারণার দলিলে পরিণত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, চুক্তির মূল ধারাগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আস্থা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভূমি কমিশনের কার্যক্রম শুরু করতে গেলেই তথাকথিত বাঙালি সংগঠনগুলো হরতাল ডাকে এবং মিটিং বানচাল করে দেয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘যারা সংবিধানে সম্পৃক্ত হতে চায় তারা কি বিচ্ছিন্নতাবাদী, নাকি যারা সংবিধানে তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না তারাই বিচ্ছিন্নতাবাদী?’উ উইন মং জলি আরও জানান, ‘অস্ত্র জমা দেওয়া হলেও প্রশিক্ষণ জমা দেওয়া হয়নি, কারণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হলে অনিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্ম হয়।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলেও জানান জেএসএস সহ-সাধারণ সম্পাদক।এ সময় জেএসএস বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি সুমন মারমার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেএসএস নেতা থুই মং প্রু মারমা, হিল উইমেন ফেডারেশনের জেলা সভানেত্রী উলিসিং মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ জেলা কমিটির সদস্য সিং ওয়াই মং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান নেটওয়ার্কের আইন সম্পাদক মংনু মারমা হেডম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মেঞোচিং মারমাসহ প্রমুখ।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/