বশির আহাম্মদ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার গোদার পাড় এলাকার ধুতরাঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথের এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মহাথের এর পা মাটির সাথে লাগানো থাকায় এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
আজ শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে বিহার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়, চিরকুটে ভান্তে তার অনুসারিদের তার স্বপ্নগুলো পূরনের কথা লিখেন। তবে চিরকুটটি দীপংকর মহাথের এর হাতের লেখা কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সুত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিহার প্রাঙ্গনে তাকে খুঁজতে গিয়ে সেবকেরা তার গলায় রশি দেয়া অবস্থায় বিহারের চালের সাথে ঝুলানো অবস্থায় খুঁজে পায়, পরে বিহারের সেবকরা পুলিশকে খবর দিলে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ড. এফ দীপংকর মহাথের এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনার জানাজানি হলে তার শতশত অনুসারী বিহার প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়, এসময় শোকের ছায়া নেমে আসে
বৌদ্ধ ভিক্ষুর শিষ্য ভুটান বড়ুয়া জানান, ভান্তের গলায় রশি দেয়া থাকলেও মৃত্যুটি রহস্যজনক। ভান্তের পা মাটিতে লাগানো অবস্থায় থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাপ্পী চাকমা বলেন, ভান্তেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, একজন জ্ঞানী ভান্তে কোনদিন আত্মহত্যা করতে পারে না, সঠিক তদন্ত করে সত্যটা প্রকাশ করা হোক।
এদিকে রোয়াাংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.পারভেজ আলী জানান, পুলিশ ধুতরাঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথের এর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে, কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে পরে জানানো হবে।
এদিকে ধুতরাঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথের এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করার পর জেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং তার শিষ্য ও ভক্তদের অনেকেই এই ঘটনাকে আত্মহত্যা, নাকি হত্যা তার প্রকৃত কারণ দ্রুত খুঁজে বের করে তা প্রকাশ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
