নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বান্দরবানে জাবারাং কল্যাণ সমিতির আয়োজনে ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা ও বম তিন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১১ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে RSF পাওয়ানকা ফান্ড-এর অর্থায়নে পরিচালিত সঞ্জীবন প্রকল্পের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকপ্রাপ্ত লেখক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবীবা মীরা।
সভায় শুরুতে প্রকল্প সমন্বয়কারী জয় প্রকাশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার কর্মসূচি সমন্বয়কারী বিনোদন ত্রিপুরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, উন্নয়ন সংস্থা গ্রাউস-এর নির্বাহী পরিচালক চাইং সিং মং ও বিএনকেএস-এর নির্বাহী পরিচালক হ্লা সিং নু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দরবান সদর ইউএনও বিপন্নপ্রায় ভাষা রক্ষায় জাবারাং কল্যাণ সমিতি কর্তৃক গৃহীত সঞ্জীবন প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বম ভাষা বিশেষজ্ঞ জুমলিয়ান আমলাই, ম্রো ভাষা বিশেষজ্ঞ ইয়াংঙান ম্রো ও তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা বিশেষজ্ঞ মিলন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা।
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, পিইডিপি, দারিদ্র বিমোচন কৌশল ও জাতীয় শিক্ষা নীতিসহ বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জাতিসত্তার মাতৃভাষায় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেয়ায় এবং ২০১৭ সাল থেকে ৫টি নৃগোষ্ঠীর ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সরকারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁরা দ্বিতীয় ধাপের জন্য নির্ধারিত ৬টি ভাষা তঞ্চঙ্গ্যা, বম, ম্রো, মৈতৈ মণিপুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি এবং খাসি ভাষায়ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/