বিদ্যুৎ এর ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ থানচিবাসী

মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদঃ
একসময়ের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন দুর্গম উপজেলা নামে পরিচিত বান্দরবানের সর্বশেষ উপজেলা থানচি, যার আলোর প্রধান উৎস ছিল সূর্যের আলো কেরোসিন মোমবাতি টস লাইটের ব্যবহারের একমাত্র উৎস।

কালের পরিক্রমায় বিদ্যুৎ সংযোগে এই জনপদের মানুষের মুখে হাসি ফোটে আলোয় আলোকিত হয় শিক্ষা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মচঞ্চল হয় কর্মপরিবেশ।

বিগত কয়েক মাস থেকে হঠাৎ সে হাসি মুখ বা কর্মচঞ্চল পরিবেশ বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে পূর্বে পরিবেশে ফিরে অন্ধকারে রুপ নিতে দেখা যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলে নেটওয়ার্ক সমস্যা ও দেখা দে।

উপজেলা এল আর ইন্জিনিয়ার ওয়াকসফের মালিক রানা বলেন বিদ্যুৎ ঘন ঘন আসা যাওয়ার কারণে, আমার সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অর্ডার নেওয়া কাজ করতে সমাস্যা হয়।

থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বলেন দৈনিক চার পাঁচ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে,যার কারণে ছাত্র ছাত্রীদের তীব্র গরমে লেখাপড়া করতে কষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা সদরের মরিয়ম পাড়ার বাসিন্দা মিলন ত্রিপুরা বলেন সন্তানদের লেখাপড়া সুবিধার জন্য বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছি বাড়িতে ফ্রিজ নাই বিশেষ করে লাইটের আলোর জন্য, বাচ্চারা লেখাপড়া করতে বসার সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে কান্নাকাটি করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে রোগীদের জরুরি সেবা,নেবুলাইজেশন, অটো ক্লাব মেশিন ইত্যাদি সেবা পাওয়া হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী (থানচি) সবুজ ঘোষ প্রতিনিধিকে জানান একদিকে জনবল সংকট অন্যদিকে কয়েকটি সাব ষ্টেশন পার হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ থানচিতে আসে এরমধ্যে কোন একটি সাব ষ্টেশন সমস্যা দেখা দিলে পরবর্তী লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা দেখা দেয়, অনেক ক্ষেত্রে গাছ বাঁশ তার বা খুঁটির উপর পড়ে গেলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়,গাছ পালা কাটার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, থানচি সদরে একটি নতুন বিদ্যুৎ অফিস হওয়ার কথা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে অনেকাংশে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।