রেইচা চেকপোস্টের তল্লাশিতে কাঠ ও ফার্নিচারসহ একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ

বশির আহমেদ, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
বান্দরবানের রেইচা আর্মি ক্যাম্প চেকপোস্টে তল্লাশি চালিয়ে অনুমতির চেয়ে অতিরিক্ত কাঠ ও ফার্নিচারসহ একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে। বান্দরবান সদরস্থ ২৮ ই বেংগল রেজিমেন্টের অধীনস্থ রেইচা আর্মি ক্যাম্পের চেকপোস্টে নিয়মিত যানবাহন তল্লাশির সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা একটি ফার্নিচার বহনকারী কাভার্ড ভ্যানকে সন্দেহজনক মনে হলে থামিয়ে তল্লাশি করেন। তল্লাশিতে দেখা যায়, অনুমোদিত নথির তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণ কাঠ ও ফার্নিচার বহন করা হচ্ছে।

পরবর্তীতে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, বাজারপাড়া, রোয়াংছড়ির ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম প্রতারণার মাধ্যমে নাজমিন আক্তারের নাম ব্যবহার করে জাল অনুমতিপত্র তৈরি করে অবৈধভাবে কাঠ ও ফার্নিচার পরিবহন করছিলেন। তল্লাশিতে বক্স খাট ০৪টি (বিছানাসহ), ড্রেসিং টেবিল০৪টি, ওয়াল শোকেস ০১টি, ডাইনিং টেবিল (এক সেট ৬টি অতিরিক্ত চেয়ারসহ), আলনা ০২টি, অতিরিক্ত বিছানা ০২ সেট, জলম কাঠ ০২ সেট, দরজার পাল্লা আনুমানিক ১২টি আটক করা হয়। ফার্নিচার ব্যবসায়ী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজ দোষ স্বীকার করেন।

পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাভার্ড ভ্যানসহ সমস্ত মালামাল রেইচা আর্মি ক্যাম্পের হেফাজতে নেয় এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে।

সেনাবাহিনীর তৎপরতা ও পেশাদারিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বরাবরই দেশের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বনজ সম্পদ সংরক্ষণ এবং অবৈধ পণ্য পরিবহন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সেনাবাহিনী কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না, বরং দেশের বনজ সম্পদ রক্ষা, অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দমন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

স্থানীয় জনগণ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে জানিয়েছেন — “সেনাবাহিনী থাকলে আমরা নিরাপদ বোধ করি। তারা শুধু সীমান্ত রক্ষা করছে না, দেশের অভ্যন্তরেও দুর্নীতি ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে অক্লান্তভাবে কাজ করছে।”

রেইচা আর্মি ক্যাম্পের এই অভিযান সেনাবাহিনীর সদস্যদের অদম্য মনোবল, সতর্কতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতিফলন, যা স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের আস্থা আরও বৃদ্ধি করেছে।
ভবিষ্যতেও অবৈধ কাঠ, মাদক, অস্ত্র ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে রেইচা আর্মি ক্যাম্পসহ সমগ্র বান্দরবান জেলায় সেনাবাহিনীর এমন তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।