মো. ইসমাইলুল করিম, প্রতিবেদক :
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও সম্পদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে বন বিভাগ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিভিন্ন সময় বন্য হাতির পাল তান্ডব চালিয়ে মানুষ এবং সম্পদ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক সহযোগিতা হিসাবে চেক বিতরণ করে লামা বন বিভাগ।
গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২টায় লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে লামা বন বিভাগের উদ্যোগে “হাতি করলে সংরক্ষণ, রক্ষা হবে সবুজ বন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জনসচেতনতা মূলক সেমিনার ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরনের চেক বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন। এছাড়া বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহ প্রমূখ। লামা বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লামায় বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার অনুদানের চেক দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈন উদ্দিন ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন,মো. জামাল উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ, তৈয়ব আলী, জসিম উদ্দিন, সাব্বির আহমদ, ছলিমুল হক চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, সাবিনা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, বোরহান উদ্দিন, বদিউজ্জামান, হাজেরা বেগম, প্রুন থান জুয়ে, আনোয়ার হোসেন, জামাল উদ্দিন, শাহা আলম, ফরিদা বগেম, ইসমত আরা বেগম, রিমা আক্তার, শফিকুর রহমান, ফরিদুল আলম, সাইফুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন, নুরুল হোছেন, আব্দুল খালেক, কবির আহাম্মদ, নাসির উদ্দিন।চেক বিতরণ সময় লামায় ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন বলেন, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে নেমে পড়ছে। তাই দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী দেরকে জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/