

এম বাবুল, কাপ্তাই প্রতিনিধি:
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বয়লার মুরগি, ছাগল ও গরুর খামার করে সফলতা পেয়েছেন এক সময়ের রোদ্দুরে পুড়ে এনজিও ও মার্কেটিং এ কাজ করা সাজাইউ মারমা। কাপ্তাই উপজেলা রাইখালী ইউনিয়নের বড়খোলা পাড়া এলাকার উথোয়াইপ্রু মারমা’ একমাত্র ছেলে সাজাইউ মারমা ১৯৯৭ সালে নারানগিরি স্কুল থেকে এসএসসি এবং পরে রাঙ্গুনিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিভিন্ন এনজিও ও কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি মার্কেটিং এর কাজ খুবই পরিশ্রম ও মানুষিক চাপের, পরে সিদ্ধান্ত নিলেন যে খামার করে সফলতা অর্জন করা যায় কিনা। ২০১২ সালে তিনি খামার করার চিন্তা করেন, প্রথমে একটি বয়লার মুরগির খামার থেকে পর্যায়ক্রমে তিনটি খামারের রূপান্তরিত করেন। বর্তমানে তার খামারে একজন স্থায়ী কর্মচারী ছাড়াও আরো কয়েকজন কাজ করেন। বায়লার মুরগির খামারের পাশাপাশি তিনি ছাগল ও গরুর খামার করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে একটি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে ছাগল পালন শুরু করে বর্তমানে তার খামারে ১৯ টি ছাগল রয়েছে। বছরে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার ছাগল বিক্রি করেন। তার খামারে বতর্মানে ৪ টি উন্নত জাতের গরু আছে। এছাড়াও তিনি দেশি মুরগি, দেশি ও রাজ হাঁস পালন করেছেন। বর্তমানে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী সাক্রাইউ মারমা সব সময় আমাকে মানুষিক সাহস যোগান। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি আমার খামারের কাজে নানা রকম সাহায্য করেন। তিনি জানান,বয়লার মুরগির খামার বয়লার বাচ্চাকে ২৫ দিনের মধ্যে পরিচর্যা করে বিক্রির উপযোগী করা হয়। বর্তমানে তার খামারে উষাথোয়াই মারমা নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। তিনি বলেন, সকালে উঠে আমি ছাগলগুলা পাহাড়ে খাবারের জন্য ছেড়ে দেই এবং বিকাল হলে আবার নিয়ে আসি। ছাগলগুলো দিনের বেলা পাহাড়ের ঘাস,গাছের লতাপাতা খেয়ে প্রাকৃতিকভাবে বড় হয়ে উঠছে। তারপর মুরগির খামারে কাজ করি। মুরগির ভ্যাকসিন,খাবার,পানি,আলো সরবরাহ সহ ইত্যাদি কাজ করে থাকি। এগুলো তেমন কষ্টের না আমার ভালই লাগে এবং আমার ইচ্ছা, আমি আমার কাকার মত সফল খামারি হব। আমি এক সময় একটা শহরে কাজ করতাম কিন্তু সেখানে রীতিমত অনেক প্রেসার তার কারণে আমি খামার কারা ইচ্ছা পোষণ করি। এ বিষয়ে কথা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.কৃষিবিদ এনামুল হক হাজারী বলেন,সাজাইউ মারমা একজন সফল খামারি। সে আমাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে আমরা তার খামারে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিনেশন থেকে শুরু করে নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। বর্তমানে আমাদের উপজেলায় অনেক সফল খামারি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। আমরা চাই উপজেলা পর্যায়ে তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো সফল খামারি তৈরি হোক। এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন জানান, আমরা সাজাইউ মারমা সহ অনেককে প্রশিক্ষণ এর আওতায় নিয়ে এসেছি ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি নানাভাবে সহযোগিতা করবো।