কাপ্তাই প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন ৬নংওয়ার্ড আগাপাড়া-আমতলী সড়কের ওপর কালভার্ট ডেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। কালভার্টটির আশেপাশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। এই সড়ক ও কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন হাজারও গ্রামীণ লোকজন যাতায়াত করে। কালভার্ট আশেপাশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার দরুণ স্কুল,কলেজ শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগী চলাচলে দূর্ভোগে পড়তে হয় এবং চলার পথে অনেক বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ লোক গর্তে পড়ে আহত হয়েছে বলে এলাকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে। এছাড়া যানচলাচলে গর্তে চাকা পড়ে হরহামেশাই দূর্ঘটনার পড়তে হয় বলে চালকরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া, দিনের আলো কমলে বাড়ে জীবনাশঙ্কা। চিৎমরম ইউনিয়নে আগাপাড়া-আমতলী সড়কের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। এলাকাবাসীর দাবি, বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও মেলেনি সমাধান। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে তাদের চলাচল।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নে
পাহাড়ি রাস্তা চিৎমরম বাজার থেকে চাকুয়া পাড়া প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরত্ব।আমতলী পাড়া থেকে আগাপাড়া যাওয়ার পথে মধ্যবর্তীস্থানে কালভার্ট ডেবে গিয়েছে কালভার্টটি আশে পাশে সলিং ইট রাস্তায় উঠে গিয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আমতলী পাড়ায় ছংড়াছড়ি ছড়ার উপরে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে কালভার্ট থেকে উপরের ওঠার রাস্তার খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। ইটের হেয়ার বোরিং রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এলাকার মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন এই রোডে কয়েক শত মোটরসাইকেল, চাঁদের গাড়ি ও অন্যান্য গাড়ি চলাফেরা করে।
এলাকাবাসী থোয়াইচিং মারমা বলেন,কালভার্ট এবং রাস্তার কারণে আমাদের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় অংহ্লাথুই মারমা বলেন, এই রাস্তা প্রতিদিন চলাচল করে চারটি গ্রামের ২ হাজার সাধারণ জনগন। এছাড়া আমাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য এই রাস্তা দিয়ে বাজারজাত করে থাকি। দুর্গম রাস্তা ও কালভার্টের জন্য আমাদের নানান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে দ্রুত কালভার্ট ও রাস্তাটি সংস্কার করা হউক।
স্থানীয় কারবারি অংসাথুই মারমা জানান, উৎপাদিত কলা, আম সবজি অন্যান্য ফসল প্রতিদিন এই রাস্তায় দিয়ে চিৎমরম বাজারে নিয়ে যেতে হয়। দুঃখের বিষয় কালভার্ড ও সড়ক সমস্যা হওয়ার কারনে সঠিক সময়ে আমরা বাজার জাত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সঠিক সময় আমরা হাট বা বাজারে পৌঁছাতে পারিনা। কালভার্ড ও সড়কটি যদি সংস্কার করা হয় তাহলে চারটি গ্রামবাসী উপকৃত হবে।
এবিষয়ে ৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী জানান, আসলেই সড়ক ও কালভার্টির দীর্ঘ দিন যাবত বেহাল অবস্থা। জনসাধারণ চলাচল ও নিজেদের ফসলের উৎপাদিত পণ্যনিয়ে বাজারে যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে। এটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্মাণে কোন বাজেট নেই। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদকে তিনি এই সড়ক ও কালভার্টি নতুনভাবে নির্মাণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/