নিজস্ব প্রতিনিধি: "ভাষা শহীদদের স্মরণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে পর্দা উড়ালো ‘মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’-এর। চলচ্চিত্র উৎসবটি আয়োজন করেছে ঢাকাস্থ জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টায় ধানমন্ডির ভিনটেজ কনভেনশন হলে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন পর্বে সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও তৎকালীন একমাত্র উপজাতীয় (এম বি বি এস) চিকিৎসক ডা. মং ঊষা থোয়াই। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আলোচক হিসেবে ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ, এএলআরডি-র নির্বাহী পরিচালক এ বি এম শামসুল হুদা, দুঃস্থ্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির আহব্বায়ক ডা. মুশতাক হোসেন, এবং শহিদ জহির রাহয়ান পুত্র অনল রায়হান।
২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এ চলচ্চিত্র উৎসব। এ সময় চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিকিৎসক ডা. মং ঊষা থোয়াই বলেন, বাংলা ভাষার পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ম্রো বম, গারো, ও সাঁওতাল ভাষায় নির্মিত সিনেমাও এ উৎসবে প্রামাণ্য চিত্র। এসময় গিরিকন্যা চলচ্চিত্রের কিছু অংশের দৃশ্যায়িত করা হয় । চলচ্চিত্রটি দেখার অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমাদের কিছু তদারকির অভাবের কারনে ছবিটিকে কোন এক সংস্থার কাছে বিক্রয় করতে সক্ষম হয়নি। এক একটা ছবি লেখা, চলচ্চিত্রের রুপ দেওয়া তাও আবার নিজস্ব মাতৃভাষায় চলচ্চিত্র বানানো, খুব সহজ বিষয় নয়। গত ২০০ বছরে পাহাড়ে কোন এক সৃজনশীল ব্যক্তি এ' ধরনে কাজ হাত দিতে সাহস করে নি, কয়েকটি কারনে: অর্থ আর মেধা ছাড়া প্রযোজনা আর পরিচালনার মতো দায়িত্বশীল কাজের যত্নবান, শুটিং স্পট ও শিল্পী নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়তো আছেই। সরকারের কাছে সেন্সর পাওয়া আরো বেশি কঠিন কাজ। একমাত্র আমার ছবিটি সেন্সর পাওয়া চলচ্চিত্র। ইতিমধ্যে আমার মারমা, খিয়াং, বম ও ম্রো ভাষায় চারটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন,আমার আর একটি চলচ্চিত্র "ডংনালা ছেলেটি" নামে তার শুটিং হয়েছে ৭০%. বাকিটা ইউরোপে গিয়ে শুটিং করা লাগবে। পরিস্থিতির কারনে আপাতত থেমে আছে। আশা করি এ' বছরের জুন-জুলাইতে শেষ করে নবেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে রিলিজ করতে পাবো। এ সবক ছবিগুলো করতে আমার কম করে হলেও আপাতত ৩০-৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা দিয়ে ভারতে বৌদ্ধ গয়া বা নেপালে লুম্বিনী বা বার্মায় একটি সুন্দর বৌদ্ধ মন্দির তৈরি করতে পারতাম তখন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রিয় মানুষ হয়ে যেতাম। কারন পার্বত্য অঞ্চলের পূন্যার্থীরা থাকার আশ্রয় পেতো।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/